ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ফ্লপে নেইমারের ‘বন্ধু’ যাঁরা
গত মঙ্গলবার নেইমারের ক্লাব ছাড়ার খবর নিশ্চিত করেছে আল হিলাল। সৌদি ক্লাবটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নেইমার আল হিলালকে যা দিয়েছেন, সে জন্য ক্লাব তাঁকে ধন্যবাদ ও সাধুবাদ এবং ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছে।’
এই ঘোষণায় নেইমারকে তাঁর অবদানের জন্য সাধুবাদ জানালেও, মাঠের পারফরম্যান্স বিবেচনায় সেই ‘অবদান’ আল হিলালের জন্য হতাশাজনকই বটে। ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে ৯ কোটি ইউরোতে আল হিলালে নাম লেখান নেইমার। কিন্তু পরের গল্পটা ছিল বেশ হতাশাজনক।
আল হিলালে যোগ দিতে না দিতেই চোটে পড়েন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, যা একপর্যায়ে তাঁকে বাইরে ছিটকে দেয় ১১ মাসের জন্য। এরপর মাঠে ফিরে আসা এবং আবার লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে যাওয়া মিলিয়ে ১৮ মাসে আল হিলালের হয়ে মাত্র ৭ ম্যাচ নেইমার খেলেছেন।
অর্থাৎ প্রতি ম্যাচের জন্য নেইমারের পেছনে ক্লাবটির খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ইউরো। ফুটবল ইতিহাসে আর কোনো খেলোয়াড়ের পেছনে ম্যাচপ্রতি এত টাকা খরচ করতে হয়নি কোনো ক্লাবকে। তবে ফুটবল ইতিহাসে আরও কিছু নাম আছে, যাঁদের পেছনে বেশ বড় অঙ্কের খরচ করেছে ক্লাবগুলো।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ইতালিয়ান সেন্টার ব্যাক মাতিয়া কালদারা। ২০১৮ সালে যাঁকে কিনতে এসি মিলান খরচ করেছিল ৩ কোটি ৭৭ লাখ ইউরো। তবে এর বিপরীতে ৩ ম্যাচের বেশি খেলা হয়নি এই ইতালিয়ান ফুটবলারের। অর্থাৎ কালদারার পেছনে মিলানের ম্যাচপ্রতি খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ইউরো। তালিকার তৃতীয় স্থানে নেইমারের সাবেক পিএসজি সতীর্থ হুগো একিটিক।
২০২৩ সালে যিনি পিএসজিতে এসেছিলেন ২ কোটি ৮৫ লাখ ইউরোতে। পরে অবশ্য তাঁকে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে বিক্রি করে পিএসজি ১ কোটি ৬৫ লাখ ইউরো পুনরুদ্ধারও করে। অর্থাৎ একিটিকের পেছনে পিএসজির খরচ ১ কোটি ২০ লাখ ইউরো। কিন্তু চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পর একিটিক ক্লাবটির হয়ে মাত্র একটি ম্যাচই খেলেছেন।
ফলে তাঁর পেছনে এক ম্যাচেই পিএসজির খরচ হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ ইউরো। একইভাবে এই তালিকার চার নম্বরে আছেন অ্যান্থনি মোদেস্তে। যাঁর পেছনে চীনা ক্লাব তিয়ানজিন তিয়ানহাইয়ের ম্যাচপ্রতি খরচ হয়েছিল ৯০ লাখ ৭০ হাজার ইউরো। এরপর ৭০ লাখ ৫০ হাজার ইউরো নিয়ে তালিকার পাঁচে আছেন এফসি পার্মার জোনাথান বাছিনি।