মরুর বুকে রিয়াল–বার্সার আরেকটি এল ক্লাসিকোর অপেক্ষা
অ্যাথলেটিক বিলবাওকে হারিয়ে আগের রাতেই এল ক্লাসিকোর সম্ভাব্য মঞ্চটা তৈরি করে রেখেছিল বার্সেলোনা। অপেক্ষা ছিল গতকাল রাতে রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের। জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়ামে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক সম্পন্ন করেছে রিয়ালও।
স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে মায়োর্কাকে তারা হারিয়েছে ৩-০ গোলে। রিয়ালের এই জয়ে নিশ্চিত হলো মরুর বুকে আরেকটি এল ক্লাসিকো। রোববার রাতে জেদ্দাতেই সুপার কাপের ফাইনালে বার্সার মুখোমুখি হবে রিয়াল। এই ফাইনালে জিতলে ১৪তম সুপার কাপ জিতে সবার ওপরে থাকা বার্সাকে ছুঁয়ে ফেলবে রিয়াল।
গতকাল রাতে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলেছে রিয়াল। প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণকে পাখির চোখ করে তারা। যদিও রিয়ালের আক্রমণগুলো বারবার খেই হারিয়েছে প্রতিপক্ষ রক্ষণের কাছাকাছি এসে। ফলে কোনো গোল ছাড়াই শেষ হয় প্রথমার্ধ। বিরতির পরও ম্যাচে দাপট ছিল রিয়ালের। কিন্তু এই অর্ধের শুরুতেও গোলের কাছাকাছি গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল তারা। অবশেষে ৬৩ মিনিটে গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন জুড বেলিংহাম।
দারুণ এক আক্রমণে রিয়ালের একাধিক শুরুতে প্রতিহত হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ঠিকই লক্ষ্যভেদ করেন বেলিংহাম। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল এই গোল নিয়েই হয়তো ম্যাচটা শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু যোগ করা সময়ে রিয়াল পেয়ে যায় আরও দুটি গোল।
৯২ মিনিটের গোলটি ছিল আত্মঘাতী এবং ৯৫ মিনিটে ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করেন রদ্রিগো। এদিন ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বিবাদের কারণে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্তও হয়ে ওঠে। যদিও শেষ পর্যন্ত বড় কিছু হয়নি।
রিয়ালের এই জয়ের পর এখন টানা তৃতীয়বারের মতো সুপার কাপের ফাইনালে দেখা মিলবে এল ক্লাসিকোর। সর্বশেষ গত বছর বার্সাকে হারিয়ে সুপার কাপের শিরোপা জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। আগেরবার, অর্থাৎ ২০২৩ সালে শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা।
ম্যাচ শেষে ফাইনালে বার্সার মুখোমুখি হওয়া প্রসঙ্গে কথা বলেছেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। তিনি বলেছেন, ‘ক্লাসিকো নিয়ে ইদানীং অনুমান করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর সুপার কাপে আমরা তাদের ৪-১ গোলে হারিয়েছি। তারা আবার বার্নাব্যুতে আমাদের ৪-০ গোলে হারিয়েছে। পরের ম্যাচটি কেমন হবে, সেটা কল্পনা করা কঠিন। এটা উপভোগ্যই হবে, কারণ, মাঠে অনেক মানসম্পন্ন খেলোয়াড় উপস্থিত থাকবে। আর অবশ্যই আমরা বার্সার চেয়ে সেরা দল হয়ে ম্যাচ শেষ করতে চাই।’