০–২ গোলে পিছিয়ে পড়েও রিয়ালের অবিশ্বাস্য জয়, উঠেছে লা লিগার শীর্ষেও
রিয়াল মাদ্রিদ ৩: ২ আলমেরিয়া
১৭ দিন আগে ডিফেন্ডার আন্তনি রুডিগারের গোলে লা লিগায় মায়োর্কাকে হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর আবার যখন লা লিগায় ফিরল দলটি, ত্রাতা হয়ে এলেন আরেক ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল। এই র্যাইটব্যাকের যোগ করা সময়ের গোলেই আজ ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়েও পয়েন্ট তালিকার তলানির দল আলমেরিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের সবচেয়ে সফল দলটি। রিয়ালের অন্য দুটি গোল জুড বেলিংহাম ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের।
ঘরের মাঠে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে পাওয়া জয়ে ২০ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ উঠিয়েছে রিয়াল। সমান ম্যাচে জিরোনার পয়েন্টও ৪৯। আজ রাতে ঘরের মাঠে সেভিয়াকে হারালে অবশ্য আবার শীর্ষে উঠে যাবে জিরোনা।
এই মৌসুমে লিগে মাত্র একটি ম্যাচ হারা রিয়াল পিছিয়ে পড়েছিল ম্যাচের বয়স ৩৮ সেকেন্ড হতেই। লারজি রামাজানি এগিয়ে দেন আলেমেরিয়াকে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়েই ২০১৫ সালের পর এত কম সময়ে প্রথম গোলটি খেল রিয়াল। ৮ বছর আগে সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ৩৮ সেকেন্ডে গোল খেয়েও শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলে জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের শুরুতে গোল খাওয়া রিয়াল ৪৩ মিনিটে ফেরায় আরও পুরোনো স্মৃতি। নাচোর ভুলে এদগার গঞ্জালেসের গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আলমেরিয়া। ২০০৩-০৪ মৌসুমে পর এই প্রথম ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে ২ গোল খাওয়ার সঙ্গে প্রতিপক্ষের গোলে একটি শটও না নিতে পারার লজ্জা সঙ্গী হয় রিয়ালের।
তিনজন খেলোয়াড় পাল্টিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নামে রিয়াল। নাচো, ফারলাঁ মেন্দি ও রদ্রিগোর বদলি হিসেবে ব্রাহিম দিয়াজ, ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া ও হোসেলুকে মাঠে নামান আনচেলত্তি। সুফল পেতে দেরি হয়নি রিয়ালের। আলমেরিয়াকে চেপে ধরার পুরস্কারটা ৫৭ মিনিটেই পেয়ে যায় দলটি।
হোসেলুর হেড হাতে লাগে আলমেরিয়ার কাইকির। মাঠের পাশে রাখা ভিএআর মনিটরে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি জুড বেলিংহাম।
৪ মিনিট পর আবার ভিএআরের সুফল পায় রিয়াল। এবার আলমেরিয়ার করা গোল বাতিল হয়ে যায়। এখানেই শেষ হয়ে যায়নি ভিএআরের ব্যবহার। ৬৭ মিনিটে আবার ব্যস্ত হতে হয় ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিদের। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র গোলটি হ্যান্ডবলের কারণে বাতিল করে দিয়েছিলেন রেফারি। কিন্তু ভিএআরের হস্তক্ষেপে বদলে যায় সিদ্ধান্ত। দেখা যায় হাতে নয় কাঁধে লেগেছিল ভিনিসিয়ুসের।
২-২ গোলে সমতা ফেরানোর পর একের পর এক আক্রমণে আলমেরিয়াকে ব্যতিব্যস্ত রাখে রিয়াল। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি আর পাচ্ছিল না দলটি। অবশেষে সেই গোলটি আসে যোগ করা সময়ের নবম মিনিটে। বেলিংহামের বানিয়ে দেওয়া বলটি ধরে গোল করে রিয়ালকে ৩ পয়েন্ট এনে দেওয়া গোলটি করেন ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল।
এরপর খেলা চলে আরও ৫ মিনিট। একবার গোল করার সুযোগও পেয়েছিল আলমেরিয়া। কিন্তু দিনটা যে রিয়ালের প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখার।