মেসির পথ ধরে যে স্বপ্নপূরণের অপেক্ষায় ইয়ামাল
চলতি মৌসুমে উদীয়মান তরুণ তুর্কিদের মধ্যে নিজেকে আলদাভাবে চিনিয়েছেন স্পেনের লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনার জার্সিতে ১৬ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই অভিষিক্ত এই ফুটবলার এরই মধ্যে ভেঙেছেন একাধিক রেকর্ড। বার্সার মাঝমাঠে এ মুহূর্তে অন্যতম ভরসার নামও ইয়ামাল।
একাধিক ম্যাচে বার্সার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এই উইঙ্গার। অনেকেই এখন তাঁকে দিয়ে লিওনেল মেসির অভাব পূরণের স্বপ্নও দেখছেন। কথা হচ্ছে, মেসির রেখে যাওয়া ১০ নম্বর জার্সি গায়ে তোলা নিয়েও। এমন কিছুকে ‘স্বপ্নপূরণ’ হওয়ার মতো বলে মন্তব্য কররেছেন ইয়ামাল নিজেই।
বার্সায় বর্তমানে ১০ নম্বর জার্সিটি আছে আনসু ফাতির দখলে। তবে চোটপ্রবণ ফাতি বার্সায় গুরুত্ব হারিয়ে ধারে খেলছেন ব্রাইটনের হয়ে। আবার বার্সায় ফিরবেন, এমন সম্ভাবনাও কম। ফাতি না ফিরলে ১০ নম্বর জার্সি পরতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বর্তমানে ২৭ নম্বর জার্সি পরা ইয়ামাল বলেছেন, ‘যেমনটা আপনি বললেন, আনুস (ফাতি) ১০ নম্বর জার্সি পরে। কিন্তু যদি সে শেষ পর্যন্ত এখানে না থাকে, তবে এটা (১০ নম্বর জার্সি) পাওয়াটা গর্বের বিষয় হবে। বার্সেলোনার ১০ নম্বর হওয়াটা যে কারও জন্য স্বপ্নপূরণের মতো বিষয়। পৃথিবীতে এমন কেউ নেই, যে এটাকে না বলতে পারে। তবে এটা এমন কিছু, যা ক্লাবকেই সামলাতে হবে।’
শুধু ১০ নম্বর জার্সিই পরতে চান না, মেসি-ইনিয়েস্তাদের মতো প্রভাবও রাখতে চান ইয়ামাল, ‘নিশ্চিতভাবে বার্সা কিংবদন্তি মেসি-ইনিয়েস্তা-জাভি-পুয়োলের মতো হতে পারলে অনেক খুশি হব।’
বয়স এখনো ১৬ পেরোয়নি। এখন খ্যাতি ও আলোচনার কেন্দ্রে ইয়ামাল। তবে এর বিনিময়ে জীবনকে শৃঙ্খলার মধ্যেও আনতে হয়েছে তাঁকে। বার্সার মূল দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হওয়ার পর জীবনে কেমন পরিবর্তন এসেছে, তা জানাতে গিয়ে ইয়ামাল বলেছেন, ‘২০২৪ সালে আমি চার কেজি ওজন বাড়িয়েছি এবং ২ সেন্টিমিটার উচ্চতা বেড়েছে। এখন আমার উচ্চতা ১.৮১ মিটার। এর আগে আমি বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে যা খুশি খেতাম। এখন আমাকে ক্লাবের নির্দেশনা মানতে হয়। আর আমি প্রচুর পানি পান করি। আমি প্রচুর মাছ খাওয়ারও চেষ্টা করি।’
আগামী বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। সেই ম্যাচেও চোখ থাকবে ইয়ামালের ওপর। চ্যাম্পিয়নস লিগের এ ম্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চিত ইয়ামাল বলেছেন, ‘ক্যারিয়ারের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার তর সইছে না।’