মেসির হাতেই এমএলএস বর্ষসেরার পুরস্কার
ইন্টার মায়ামির হয়ে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) লিওনেল মেসি এবারই প্রথম পূর্ণ মৌসুম খেলেছেন। দলকে সাপোর্টাস শিল্ড পুরস্কার জিতিয়ে প্রথম পূর্ণ মৌসুমেই হয়েছেন এমএলএসের বর্ষসেরা। কাল লিগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে ‘ল্যান্ডন ডোনোভ্যান মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করা হয়।
চোটের কারণেই মেসি অবশ্য পুরো মৌসুমে খেলতে পারেননি। পায়ের ব্যথা, মাংসপেশিতে টান, জাতীয় দল আর্জেন্টিনার খেলা থাকা আর কোপা আমেরিকা ফাইনালের পাওয়া সেই অ্যাঙ্কেলের চোট মিলিয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচ মিস করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
এমএলএসে ২০২৪ মৌসুমের ৩৪ ম্যাচের মধ্যে ১৯ ম্যাচ খেলেছেন মেসি। তাতে গোল করেছেন ২০টি, করিয়েছেন আরও ১৬টি। রেগুলার সিজনে রেকর্ড ৭৪ পয়েন্ট তুলতে পেরেছে মেসির দল, জিতেছে সর্বোচ্চ পয়েন্টের সাপোর্টার্স শিল্ড।
যদিও চ্যাম্পিয়ন-নির্ধারণের প্লে-অফ পর্বে মায়ামির যাত্রা থেমে গেছে শুরুতেই। তবে এমএলএসের দুই কনফারেন্স মিলে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকার সুবাদে আগামী বছরের ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে দলটি।
বর্ষসেরা হয়েও অবশ্য লিগ চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আক্ষেপ ঝরেছে মেসির কণ্ঠে, ‘এই পুরস্কারটি আমি ভিন্ন এক পরিস্থিতিতে, শনিবারের ফাইনালের সময় নিতে চাইতাম। এবারের এমএলএসে আমাদের অনেক বড় স্বপ্ন ছিল। সেটা হয়নি। পরের মৌসুমে আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে চেষ্টা করব।’ শনিবার লিগের ফাইনালে লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সি ও নিউ ইয়র্ক রেড বুলস খেলবে।
ইন্টার মায়ামির ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এমএলএসের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার কীর্তি গড়েছেন মেসি। খেলোয়াড়, গণমাধ্যমকর্মী ও ক্লাবগুলোর ভোটে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয়। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সর্বোচ্চ ৩৮.৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মেসি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩.৭০ ভোট পেয়েছেন কুচো হার্নান্দেস। মেসির সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ভোট পেয়েছেন ২.১৭ শতাংশ। ২০২৪ এমএলএসে ৬ বার সপ্তাহের সেরা এবং ২ বার মাসের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন মেসি।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক তারকা ফুটবলার ল্যান্ডন ডোনোভ্যানের নাম অনুসারে পুরস্কারটির নামকরণ করা হয় ‘ল্যান্ডন ডোনাভ্যান এমএলএস মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার।’ ১৯৯৬ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
মেসি মায়ামিতে যোগ দেন ২০২৩ সালে। মায়ামিতে নিজের প্রথম মৌসুমে ১৪ ম্যাচে ১১ গোল করেন মেসি। সতীর্থদের দিয়ে করান ৫ গোল। সেবার দলকে এনে দেন লিগস কাপের ট্রফি, যা ডেভিড বেকহামের মালিকানাধীন ক্লাবটির ইতিহাসের প্রথম শিরোপা।