বিশ্বকাপের সেরা তরুণকে কিনতে যাচ্ছে চেলসি
বিশ্বকাপের আগে বেনফিকার হয়ে আলো ছড়ালেও তাঁকে নিয়ে আলোচনা ছিল সামান্য। তবে ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চ বিশ্বকাপে নিজেকে আলাদাভাবে চেনান এনজো ফার্নান্দেজ। বিশ্বকাপের শেষ দিকে গিয়ে তুঙ্গে ওঠে তাঁর দলবদলের আলোচনাও।
সবার আগে এনজোর সঙ্গে নাম জড়ায় লিভারপুলের। সে সময় ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারকে কিনতে অ্যানফিল্ডের দলটি ১০০ মিলিয়ন ইউরোও খরচ করতে রাজি।
তবে এনজোর জন্য বেনফিকার চাওয়া ছিল আরও বেশি, ১২০ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজ নির্ধারণ করেছিল পর্তুগিজ ক্লাবটি। লিভারপুলের পর টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যোগ দেওয়ার কথাও শোনা যায়।
একপর্যায়ে লিভারপুলের কাছ থেকে এনজোকে ইউনাইটেডের ছিনিয়ে নেওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়। তবে লিভারপুল ও ইউনাইটেডকে নিরাশ করতে এগিয়ে আসে আরেক ইংলিশ পরাশক্তি চেলসি। নাটকীয়তা শেষে এখন এনজোর স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে যাওয়া সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে।
ইতালিয়ান সাংবাদিক ও দলবদল–বিশেষজ্ঞ গিয়ানলুকা দি মারজিও বলছেন, এনজোকে নিয়ে চেলসি-বেনফিকার চুক্তি এখন সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায়। এনজোর সঙ্গে ব্যক্তিগত শর্তাবলির ক্ষেত্রেও ঐকমত্যে পৌঁছেছে দুই পক্ষ। এমনকি এনজোকে কিনতে শুরুতে বেনফিকার চাওয়া ১২০ মিলিয়ন ইউরোর যে অঙ্ক, সেটিও ছাড়িয়ে গেছে ব্লুজরা।
বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকার জন্য চেলসির ১২৭ মিলিয়ন ইউরো দিতে রাজি। এ খবর সত্যি হলে রোমেলু লুকাকুকে ছাড়িয়ে এনজো হবেন চেলসির ইতিহাসে সবচেয়ে দামি তারকা। এর আগে ২০২১ সালে লুকাকুকে কিনতে চেলসির খরচ হয়েছিল ১১৩ মিলিয়ন ইউরো।
শুরুতে অবশ্য অতিরিক্ত দামের কারণে জানুয়ারিতে এনজোর দলবদল অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছিল। তবে ২১ বছর বয়সী এই তারকাকে পেতে উন্মুখ চেলসি গ্রীষ্ম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছিল না। বিশেষ করে, মাঝমাঠে এ মৌসুমে বেশ সংগ্রাম করতে হচ্ছে চেলসিকে।
পাশাপাশি এ মৌসুম শেষে জর্জিনিও ও এনগালো কান্তের ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই আগেভাগেই এনজোকে দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখতে চাইছে গ্রাহাম পটারের দল।