রিয়াল মাদ্রিদ আর এক ম্যাচ হারলেই বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন
সোসিয়েদাদ ২ : ০ রিয়াল মাদ্রিদ
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের কথা মাথায় রেখে বিশ্রামে ছিলেন করিম বেনজেমা। নিষেধাজ্ঞায় খেলার সুযোগ ছিল না ভিনিসিয়ুস জুনিয়র আর এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার। চোটের কারণে অনুপস্থিত লুকা মদরিচ, ডেভিড আলাবা ও ফারল্যান্ড মেন্ডিরা।
শুরুর একাদশের এতগুলো নিয়মিত মুখ ছাড়া খেলতে নেমে বড় ‘শাস্তি’ই পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। লা লিগায় রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
রিয়ালের এই হারে বার্সেলোনার শিরোপাজয়ের মুহূর্ত আরও ঘনিয়েছে। দুই দলেরই ম্যাচ বাকি ৫টি করে, পয়েন্টের ব্যবধান ১৪। রিয়াল মাদ্রিদ আর একটি ম্যাচ হারলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে বার্সা। কারণ চারটিতে জিতলেও কাতালান ক্লাবটিকে ছুঁতে পারবে না বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
লিগের ৩৩তম রাউন্ডের ম্যাচে রিয়ালের আগে খেলতে নেমেছিল বার্সেলোনা। ওসাসুনাকে ১-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্টের ব্যবধান ১৪-তে নিয়ে যায় জাভি হার্নান্দেজের দল।
বার্সার শিরোপাজয়ের পথ আরও দীর্ঘায়িত করতে সোসিয়েদাদের বিপক্ষে জয় দরকার ছিল রিয়ালের। কিন্ত ম্যাচ হেরে উল্টো পয়েন্ট তালিকার তিনে নেমে যাওয়ার শঙ্কাও জেগেছে এখন। তৃতীয় স্থানে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদ মাত্র ২ পয়েন্ট পেছনে, ম্যাচও খেলেছে একটি কম।
অ্যানেওতার ম্যাচটিতে রিয়াল দুটি গোলই হজম করেছে দ্বিতীয়ার্ধে। ৪৭ মিনিটে প্রথম গোলটি হয় এদের মিলিতাওয়ের ভুলে। নিজেদের রক্ষণে আলেক্সান্ডার সরলথের চাপে পড়ে বল পেছন দিকে গোলরক্ষকের কাছে পাস দেন মিলিতাও। তবে একটু বেশিই জোর দিয়ে ফেলায় থিবো কোর্তোয়া সামনে এগিয়ে আসার কারণে নাগাল পাননি।
কাছাকাছি থাকা তাকেফুসা কুবো ছুটে এসে সহজেই বল জালে জড়িয়ে সোসিয়েদাদকে এগিয়ে দেন। ২১ বছর বয়সী জাপানি উইঙ্গারের এটি চলতি মৌসুমে অষ্টম গোল, লা লিগার এক মৌসুমে সর্বোচ্চ।
পিছিয়ে যাওয়া রিয়াল গোল শোধ করবে কি, উল্টো কিছুক্ষণ পরই ১০ জনের দলে পরিণত হয়। ৭ মিনিটের ব্যবধানে দুটি হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ডে মাঠ ছাড়তে হয় দানি কারভাহালকে।
একজন কম নিয়ে খেলা রিয়ালের জালে ৮৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোল দেন অ্যান্ডার বারেনেটিয়া। রিয়াল শুধু মৌসুমের সপ্তম হার নিয়ে মাঠ ছাড়েনি, বার্সেলোনার সামনে ট্রফিটা আরেকটু এগিয়েও দিয়েছে।
লিগে রিয়ালের পরের ম্যাচ ১৩ মে হেতাফের বিপক্ষে। পরদিন এসপানিওলের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা।