মেসির সঙ্গে ছবিটি যে কারণে লুকিয়ে রেখেছিল ইয়ামালের পরিবার

স্পেনের অনুশীলনে লামিনে ইয়ামালএএফপি

ছবিটি ভাইরাল হয়েছে বেশ আগেই। এর মধ্যে সেমিফাইনালে চোখধাঁধানো গোল করলেন লামিনে ইয়ামাল, স্পেন উঠল ফাইনালে। ছবিটি আবারও উঠে এল আলোচনায়। কোন সে ছবি, নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।

৬ মাস বয়সী ইয়ামাল ও ২০ বছর বয়সী মেসির ছবি। একটি গামলায় শিশু ইয়ামালকে গোসল করাচ্ছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। পাশেই ইয়ামালের মা শেইলা এবানা। ইয়ামালের বাবা এই ছবি চলতি মাসের শুরুতে ইনস্টাগ্রামে পোস্টে করার পর তা ভাইরাল হয়। মেসি ও শিশু ইয়ামালের সে মুহূর্তের আরও কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। ইয়ামাল জানিয়েছেন, ছবিগুলো এত দিন লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

আরও পড়ুন

কেন? সেই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন স্পেন উইঙ্গার। এ নিয়ে কথা বলেছেন ভিডিও স্ট্রিমিং মাধ্যম টুইচের হিহান্তেস এফসির (অপেশাদার ফুটবল প্রতিযোগিতা কিংস লিগের দল) চ্যানেলে। ইয়ামাল সেখানে জানিয়েছেন, ছবিটি এত দিন লুকিয়ে না রাখলে বার্সেলোনা কিংবদন্তি মেসির সঙ্গে তুলনা উঠত। আর সেটি তাঁর ক্যারিয়ারে কোনো কাজে লাগত না।

২০০৭ সালে বার্সেলোনার মাঠ ক্যাম্প ন্যুর ভিজিটরস লকার রুমে আয়োজন করা ফটোশুটে মেসির সঙ্গে শিশু ইয়ামালের সেই ছবিগুলো তোলা হয়েছিল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘দিয়ারিও স্পোর্ত’ এবং ইউনিসেফের পরিচালনায় বার্ষিক চ্যারিটির অংশ হিসেবে ক্যালেন্ডারের জন্য বার্সার খেলোয়াড়েরা বেশ কয়েকটি পরিবারের শিশুদের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন। এর মধ্যে ইয়ামালের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন মেসি।

হিহান্তেসকে গতকাল ইয়ামাল বলেছেন, ‘ছবিগুলো যখন তোলা হয়েছে, তখন আমার ওই বয়সে বোঝার কথা নয় কী ঘটছে। বাবা ছবিগুলো তুলে রেখেছিলেন, কখনো প্রকাশ করেননি। কারণ, আসলে মেসির সঙ্গে তুলনা হোক সেটা আমরা চাইনি। সর্বকালের সেরার সঙ্গে তুলনায় কেউ হয়তো বিরক্ত হবে না। তবে এ ব্যাপারটা আপনার বিপক্ষেও কাজ করতে পারে, কারণ আপনি কখনোই তাঁর মতো হতে পারবেন না।’

আরও পড়ুন

তাই বলে তুলনা কিন্তু বন্ধ রাখা যায়নি। ইয়ামাল মেসির মতোই বাঁ পায়ের খেলোয়াড়, খেলেন ডান উইংয়ে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বার্সার মূল দলে অভিষেক এবং প্রতিভার দ্যুতি ছড়াচ্ছেন তরুণ মেসির মতোই। গত মৌসুমে ৫০টির বেশি ম্যাচ খেলেছেন, স্পেনের জার্সিতে নজর কেড়েছেন ইউরো শুরুর আগেই। আর এবার ইউরোয় তো ইংল্যান্ড কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকার তাঁকে দেখে বলেছেন, ‘একজন মহাতারকার জন্ম হলো।’

শুধু কি তা–ই, ইয়ামালকে বার্সার মূল দলে তুলে আনা সাবেক কোচ জাভি হার্নান্দেজও তাঁর খেলার সঙ্গে মেসির মিল খুঁজে পান। পেপ গার্দিওলার গড়া বার্সার সেই ‘ড্রিম টিমে’ জাভিরই সতীর্থ ছিলেন মেসি। ইয়ামালের মধ্যে ‘মেসির খেলার ঝলক’ দেখার কথা আগেই বলেছেন জাভি। এর মধ্যে অবশ্য মজার এক কাণ্ডও ঘটেছে।

স্পেনের সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ ইয়ামালের বাবার সঙ্গে সেই ছবি নিয়ে কথা বলেছে। ইয়ামালের বাবা মৌনির নাসরাউয়ির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মেসির হাতে সন্তানের গোসল করাকে আশীর্বাদ মনে করেন কি না? নাসরাউয়ি মজা করে বলেছেন, ‘কিংবা মেসিই হয়তো আমার সন্তানের কাছ থেকে আশীর্বাদপুষ্ট। আমি জানি না। আমার কাছে আমার সন্তান সবকিছুতেই সেরা। সেটা শুধু ফুটবল নয়, ভালোবাসা, ব্যক্তি—সবকিছুতেই।’

আরও পড়ুন