ইস্টবেঙ্গল–অভিষেকে পুরোপুরি খুশি নন সানজিদা
ইস্টবেঙ্গল নারী ফুটবল দলের ম্যানেজার ইন্দ্রানী সরকারের কণ্ঠে সন্তুষ্টি, ‘সানজিদা আজ বেশ ভালো খেলেছে। প্রথম ম্যাচ হিসেবে যথেষ্ট ভালো। এই খেলা ধরে রাখতে হবে।’
ভারতীয় নারী ফুটবল লিগে আজ ইস্টবেঙ্গলের লাল–হলুদ জার্সিতে অভিষেক হয়েছে সানজিদা আক্তারের। খেলেছেন ১০ নম্বর জার্সি নিয়ে, পুরো সময়। ওডিশা এফসির সঙ্গে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হলেও বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের এই উইঙ্গারের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছিল যথেষ্টই ভালো।
সানজিদা অবশ্য নিজের পারফরম্যান্স পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। ম্যাচশেষে কলকাতা থেকে ফোনে বললেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি ভালো খেলার। বেশ কয়েকটি আক্রমণেও উঠেছি। তবে নিচ থেকে বলের জোগান আরও বেশি হলে ভালো হতো। দল জিততে পারলে আরও বেশি ভালো লাগত।’
ইস্টবেঙ্গলে গিয়ে সানজিদা এরই মধ্যে স্মৃতিকাতর করে তুলেছেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের। ১৯৯১ সালে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে গিয়েছিলেন মোনেম মুন্না, রিজভি করিম রুমি, শেখ মোহাম্মদ আসলাম আর গোলাম গাউস। সে সময়ে আবাহনী লিমিটেডে খেলা এই তারকা ফুটবলাররা ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে খেলেছিলেন সুনামের সঙ্গে। সে বছর ইস্টবেঙ্গলের কলকাতা লিগ জয়ে দারুণ ভূমিকা ছিল তাদের। নব্বইয়ের দশকে এর পরেও একবার ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেছিলেন মুন্না। অকাল প্রয়াত এই ফুটবলার দারুণ খেলে পরিণত হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের নয়নমণিতে।
তিন দশক পর আবারও কোনো বাংলাদেশি ফুটবলার ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পরলেন। মুন্না–রুমিরা যখন খেলেছিলেন, সানজিদার তখন জন্মই হয়নি। তবে তিনি ইস্টবেঙ্গলে খেলতে গেছেন তার পূর্বসূরি তারকাদের কথা মাথায় নিয়েই। ঢাকা ছাড়ার আগে বলেছিলেন, ‘ইস্টবেঙ্গলে এর আগে বাংলাদেশ থেকে যাঁরা খেলেছেন, তাঁরা সবাই বড় বড় তারকা। কিংবদন্তি পর্যায়ের। আমিও তাঁদের মতোই ইস্টবেঙ্গলে খেলতে যাচ্ছি, এটা বিশাল ব্যাপার।’
কলকাতায় যাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে মুন্না–আসলাম–রুমিদের ছবি দেখে আবেগতাড়িত হয়ে তা নিয়ে ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন সানজিদা।
ভারতীয় লিগে কিকস্টার্ট এফসির হয়ে খেলছেন সানজিদার দীর্ঘ দিনের সতীর্থ ও জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও। কলকাতা যাওয়ার পর স্বাস্থ্য বিমা সংক্রান্ত জটিলতায় সেথু এফসির বিপক্ষে না খেললেও ওডিশার বিপক্ষে পরের ম্যাচে পুরো সময়ই খেলেছেন। গতকাল খেলেছেন হপস এফসির বিপক্ষে এর পরের ম্যাচেও। যেটিতে কিকস্টার্ট হেরেছে ৫–১ গোলের বড় ব্যবধানে। সাবিনাও কিকস্টার্টের ১০ নম্বর জার্সি পরে খেলছেন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি মাঠে সানজিদার মুখোমুখি হবেন সাবিনা। বুঝতেই পারছেন, সেদিন কিকস্টার্ট খেলবে ওডিশার বিপক্ষে।
হপসের বিপক্ষে বড় হারে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থান হারিয়েছে কিকস্টার্ট। সেখানে উঠে এসেছে গোকুলাম কেরালা। শীর্ষ আছে ওডিশা এফসি। সানজিদার দল ইস্টবেঙ্গলের অবস্থা অবশ্য খুব একটা ভালো নয়। ৭ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের জয় মাত্র একটি। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা সাত দলের লিগে এ মুহূর্তে আছে ষষ্ঠ স্থানে।