রেফারির ওপর ক্ষুব্ধ হলান্ড, দিলেন গালি
গোলটা যে হতোই, সে নিশ্চয়তা নেই। তবে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিশ্চিতভাবেই গোলের সুযোগ হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। যে কারণে তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে তো বটেই, ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রেফারির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আর্লিং হলান্ড।
আর সেই ক্ষোভের প্রকাশ এমন ভাষায়, যার জেরে শাস্তিও হতে পারে তাঁর।
ঘটনা গত রাতের সিটি–টটেনহাম ম্যাচের ৯৪তম মিনিটের। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচ তখন ৩–৩ গোলে সমতায়। শেষ হতে চলা ম্যাচে প্রতিটি সেকেন্ডই দুই দলের জন্য মূল্যবান। এমন সময় বল নিয়ে আক্রমণে ওঠার চেষ্টায় ফাউলের শিকার হন হলান্ড। তবে দ্রুতই নিজেকে সামলে নিয়ে ছুটে গিয়ে বল বাড়ান সামনে থাকা জ্যাক গ্রিলিশের দিকে। চমৎকারভাবে বাড়ানো বল ধরে গ্রিলিশ যখন টটেনহাম গোলমুখের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, পেছনে শুধু দুজন টটেনহাম ডিফেন্ডার। গোলের খুব ভালো সম্ভাবনা সিটির সামনে।
ঠিক সেই সময় রেফারির বাঁশিতে থেমে যেতে হয় গ্রিলিশকে। হলান্ডকে ফাউলের ঘটনায় সিটিকে ফ্রি–কিক দেন তিনি। এতেই বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সিটির খেলোয়াড়েরা। ফাউল ধরলে সঙ্গে সঙ্গেই কেন নয়, কেন বল নিয়ে গোলের কাছাকাছি চলে যাওয়ার পর বাঁশি বাজল—এ নিয়ে রেফারি সাইমন হুপারকে ঘিরে ধরেন হলান্ডসহ অন্যরা। যদিও এতে কোনো কাজ হয়নি। উল্টো চেঁচামেচি করায় হলুদ কার্ড দেখেন হলান্ড।
এ নিয়ে ম্যাচের পরও ক্ষোভ আড়াল করতে পারেননি নরওয়েজীয় তারকা। ফাউলের ঘটনার একটি ভিডিও রিটুইট করেছেন হলান্ড। সঙ্গে ক্যাপশনে জুড়ে দিয়েছেন গালি হিসেবে ব্যবহার হয়, এমন একটি শব্দ।
ম্যাচের পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাকে হলান্ডের মাঠের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। গার্দিওলা বলেন, ক্ষুব্ধ হওয়াটা স্বাভাবিকই, ‘ওর আর বাকি ১০ জন খেলোয়াড়ের প্রতিক্রিয়া একই। আইনে আছে, এ নিয়ে রেফারি বা চতুর্থ রেফারির সঙ্গে কথা বলা যায় না। (যদি বলা যেত) আজ আমাদের ১০ জনই লাল কার্ড দেখত।’
গার্দিওলা মনে করেন, খেলোয়াড়দের জায়গায় থাকলে হুপার নিজেও এমন রেফারিংয়ে হতাশ হতেন, ‘সে (হলান্ড) কিছুটা হতাশ ছিল। এমনকি যিনি রেফারি ছিলেন, তিনি যদি সিটির হয়ে খেলতেন, তবে নিজের কাণ্ডের জন্য হতাশ হতেন।’
গত মাসে নিউক্যাসলের বিপক্ষে ম্যাচের রেফারিং নিয়ে কথা বলে শাস্তি পেয়েছিলেন আর্সেনাল কোচ মিকেল আরতেতা। ওই ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে গার্দিওলা বলেন, ‘আমি মিকেল আরতেতার মন্তব্য করতে চাই না।’
প্রতিক্রিয়া প্রকাশে সংযত হওয়া গার্দিওলা অবশ্য রেফারি ওই ঘটনায় কী করতে পারতেন, সেটি বলেছেন, ‘আমি অবাকই হয়েছিলাম। আর্লিং যখন মাটিতে পড়ে গেল, তখনই আপনি বাঁশি বাজাতে পারতেন। কিন্তু সে যখন দাঁড়িয়ে গেল, রেফারি তাঁকে খেলা চালিয়ে যেতে ইশারাও দিলেন। কিন্তু হলান্ড যখন পাসটা দিল, তখনই খেলাটা থামিয়ে দিলেন। আমি তাঁর সমালোচনা করতে চাই না।’
সাইমন হুপারের ফাউলের সিদ্ধান্তটি সঠিক নয় বলে মত দিয়েছেন দুই সাবেক ফুটবলার ও বিশ্লেষক রয় কিন ও জেমি ক্যারাঘারও। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক অধিনায়ক কিন এটিকে ‘ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন, আর সাবেক লিভারপুল ডিফেন্ডার ক্যারাঘার বলেছেন, খেলা চালাতে গিয়ে ‘আতঙ্কিত’ হয়ে গিয়েছিলেন রেফারি।