ইউরো বাছাইয়ে ১৪ গোলের রেকর্ড জয় ফ্রান্সের
জিব্রাল্টার নাম এলেই সাধারণ জ্ঞানের বইয়ের ‘জিব্রাল্টার প্রণালি’র কথা মনে পড়তে পারে। ভূমধ্যসাগরকে আটলান্টিক মহাসাগরের সঙ্গে সংযোগকারী প্রণালি এটি।
স্পেনের দক্ষিণে জিব্রাল্টার নামেই একটা ভূখণ্ড আছে, যা ব্রিটেনের অধীনস্থ। তাদের আবার একটা জাতীয় ফুটবল দলও আছে। সেই দলই গত রাতে ফ্রান্সের বিপক্ষে গড়েছে বিব্রতকর রেকর্ড। ৫-১০টি নয়, ফ্রান্সের কাছে ১৪ গোল খেয়েছে জিব্রাল্টার!
প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এটাই ইউরোপের কোনো দলের সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড। এর আগে জার্মানি জিতেছিল ১৩–০ ব্যবধানে, ২০০৬ সালে সান মারিনোর বিপক্ষে। আর ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ১০-০ ব্যবধানে, ১৯৯৫ সালে আজারবাইজানের বিপক্ষে।
বোঝাই যাচ্ছে, উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বের এ ম্যাচে পুঁচকে জিব্রাল্টারকে নিয়ে ছেলেখেলায় মেতেছিলেন ফরাসি ফুটবলাররা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১৯৮ নম্বরে থাকা দলটির বিপক্ষে গোলবন্যার ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে। হ্যাটট্রিক করার পথে ক্যারিয়ারে ৩০০ গোলের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন এমবাপ্পে। আর ৪৬ গোল নিয়ে তিনি এখন ফ্রান্সের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। তাঁর ওপরে আছেন শুধু থিয়েরি অঁরি (৫১) ও সতীর্থ অলিভিয়ের জিরু (৫৬)।
জোড়া গোল করেছেন কিংসলে কোমান ও অলিভিয়ের জিরু। একবার করে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন উসমান দেম্বেলে, মার্কাস থুরাম, আদ্রিয়ান রাবিও, ওয়ারেন জাইরে-এমেরি, জোনাথান ক্লাউস ও ইউসুফ ফোফানা। আর ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে হওয়া প্রথম গোলটি জিব্রাল্টারের উপহারসূচক, নিজেদের জালেই বড় জড়িয়েছেন ইথান সান্তোস।
এ ম্যাচ দিয়েই জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে পিএসজি মিডফিল্ডার জাইরে-এমেরির। ১৭ বছর বয়সী এই তরুণই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্সের হয়ে খেলা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার।
ফ্রান্সের রেকর্ডের রাতে তুরস্কর কাছে ৩-২ ব্যবধানে হেরে বসেছে জার্মানি। ইউরোর স্বাগতিক হওয়ায় বাছাই খেলতে হচ্ছে না জার্মানদের। তাই প্রীতি ম্যাচ খেলে নিজেদের প্রস্তুত করে তুলছে। বার্লিনে এমন ম্যাচে কাই হাভার্টজের গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে হান্সি ফ্লিকের জায়গায় প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়া ইউলিয়ান নাগলসমান ঘরের মাঠে অভিষেক ম্যাচটা দ্রুত ভুলে যেতে চাইবেন।