স্কালোনির পরিবার ‘বিভক্ত’ করা ফিনালিসিমায় মেসি–ইয়ামালের দেখা হচ্ছে কবে
আশা পূর্ণ হয়েছে লামিনে ইয়ামালের। দুই দিন আগে ‘স্পেনের বিস্ময়বালক’ আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ইউরোয় স্পেন এবং কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা যেন চ্যাম্পিয়ন হয়। যাতে দুই মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নের ফিনালিসিমায় মেসির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। কাল রাত আর সকাল মিলিয়ে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে স্পেন ইউরোয় আর আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে। ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশের দুই চ্যাম্পিয়ন দলের লড়াই ফিনালিসিমা বা গ্র্যান্ড ফাইনালে ইয়ামাল–মেসির মুখোমুখি হওয়াটা তাই সময়ের ব্যাপার।
কিন্তু কখন দেখা যাবে আটবারের ব্যালন ডি ’অরজয়ী মহাতারকা ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আগমনী বার্তা শোনানো বিস্ময়বালকের মুখোমুখি খেলা? সেই ম্যাচ হবেই–বা কোথায়?
প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো, এখন পর্যন্ত পরবর্তী ফিনালিসিমার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। তবে ইউরোর আয়োজক উয়েফা এবং কোপা আমেরিকার আয়োজক কনমেবলের মধ্যে যে চুক্তি সই করা আছে, তাতে ২০২৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দুই মহাদেশের চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে ফিনালিসিমা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত। চুক্তি অনুযায়ী, দুই মহাদেশের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন দল একে অপরের মুখোমুখি হবে। এর অর্থ হলো ২০২৫ সালের জুন–জুলাইয়ের মধ্যেই ফিনালিসিমা অনুষ্ঠিত হবে।
সর্বশেষ ফিনালিসিমা হয়েছিল ২০২২ সালে, তখনকার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও ইতালির মধ্যে। ম্যাচটি হয়েছিল ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলিতে। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস বলছে, ২০২৫ ফিনালিসিমা হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্র এবারের কোপা আমেরিকার ভেন্যু ছিল, ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজকও এই দেশ। আর বিশ্বকাপকেন্দ্রিক ভাবনার কারণে স্পেনও সেখানে খেলতে যেতে চাইতেই পারে।
আন্তর্জাতিক ফুটবলের শীর্ষস্থানীয় বেশির ভাগ দলের অবস্থানই ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকায়। এ দুই মহাদেশের দুটি দলের মুখোমুখি হওয়া নতুন কিছু নয়। ১৯৮৫ সালে প্যারিসে মুখোমুখি হয়েছিল উরুগুয়ে–ফ্রান্স, যা তখন ‘আরতেমিও ফ্রানসি কাপ’ নামে পরিচিত ছিল। পরের আসর বসেছিল আর্জেন্টিনার মার দেল প্লাতায় ১৯৯৩ সালে, যে ম্যাচে আর্জেন্টাইনদের প্রতিপক্ষ ছিল ডেনমার্ক।
দেখা যাচ্ছে, ভিন্ন নামে হওয়া দুই মহাদেশের তিনটি ‘গ্র্যান্ড ফাইনালে’র মধ্যে দুটিতেই ছিল আর্জেন্টিনা। এবার কোপা আমেরিকা জয়ের সুবাদে একই মঞ্চে দেশটি আবারও। আজ কোপা আমেরিকা জয়ের পর আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনিকে পরবর্তী ফিনালিসিমা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে অম্লমধুর অনুভূতির কথাই জানান তিনি, ‘এটা কি হবে? আমার পরিবারের একটা অংশ স্প্যানিশ। দেশটার সঙ্গে আমার বিশেষ একটা বন্ধন আছে। আমি ওখানেই থাকি, কোচকেও (লুইস দে লা ফুয়েন্তে) চিনি। স্পেন ইউরো জেতায় আমি খুশি। আর আমাদের যদি (ফিনালিসিমা) খেলতে হয়, তাহলে আমি সমস্যাতেই পড়ব। কারণ, আমার পরিবার দুই ভাগ হয়ে যাবে। ওটা চমৎকার ম্যাচই হবে। কারণ দুটো দলই দুর্দান্ত ফর্মে আছে এবং একে অপরের চেয়ে ভিন্নভাবে খেলে।’