এত গোল করার কথা হলান্ড নিজেও ভাবেননি
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডেই নিজেকে ‘গোলমেশিন’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আর্লিং হলান্ড। গ্রীষ্মের দলবদলে ডর্টমুন্ড ছেড়ে নাম লেখান ম্যানচেস্টার সিটিতে। ক্লাব বদলালেও বদলাননি গোলের অভ্যাস।
একের পর এক গোলে প্রথম মাসেই ভেঙেছেন প্রিমিয়ার লিগের একাধিক রেকর্ড। স্ট্রাইকার হিসেবে গোল করাই হলান্ডের কাজ। তবে এত বেশি গোলের প্রত্যাশা তিনি নিজেও করেননি।
ম্যান সিটির জার্সিতে হলান্ডের শুরুটা স্বপ্নের মতোই বলা যায়। টানা দুই হ্যাটট্রিকসহ প্রিমিয়ার লিগে করেছেন ৭ ম্যাচে ১১ গোল। ৩টি গোল করেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগে। পেপ গার্দিওলার অধীনে নিজের সেরাটাই দিয়ে যাচ্ছেন নরওয়েজিয়ান তারকা।
সিটিতে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে হলান্ডের কথা, ‘সত্যি কথা বলতে কি, এমন শুরুর কথা কেউ প্রত্যাশা করতে পারে না। তবে একই সঙ্গে এ–ও বলতে হয় যে আপনি ম্যানচেস্টার সিটিতে স্ট্রাইকার হিসেবে আসছেন, যারা কিনা গোল করতে পছন্দ করে। তারা প্রচুর গোল করেও থাকে। ম্যান সিটি গত মৌসুমেই ১০০ গোল করেছে। অবশ্য আমি গোল করব, এটাই বাস্তবতা।’
প্রিমিয়ার লিগে পথচলার শুরুতে হলান্ডের মতো এমন শুরু খুব কম জনই পেয়েছেন। এর মাঝে চ্যাম্পিয়নস লিগে শূন্যে ভেসে ভলিতে সাবেক ক্লাব ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে যে গোল করেছেন, সেটি অনেক দিন মনে রাখার মতো। দুর্দান্ত শুরুর পর চারপাশে এখন শুধুই তাঁর প্রশংসা।
এমন কিছু যে অপ্রত্যাশিত হলান্ডের কাছেও, ‘আমি ক্যামেরার সামনে এটা বলতে চাই না, এটা ভুল শিরোনাম তৈরি করবে। একভাবে দেখলে, আমি গোল করছি, এটা নিয়ে বিস্মিত নই। ব্যাপার হচ্ছে, মৌসুমের শুরুতেই আমি ১৪ গোল করেছি। এখনো অক্টোবর আসেনি। এতটা আমার প্রত্যাশা ছিল না।’
দলবদলে হলান্ডকে নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিল অনেক ক্লাব। তবে ২২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের পছন্দের তালিকায় সবার ওপরে ছিল ম্যান সিটিই। ইউরোপিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে সফল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদও তাঁর পছন্দের তালিকায় ছিল ৩ নম্বরে।
হলান্ডের ক্লাব বাছাইপ্রক্রিয়া নিয়ে তাঁর বাবা আলফি হলান্ড বলেছেন, ‘আমাদের তালিকায় সিটি ছিল সেরা দল। বায়ার্ন মিউনিখ ছিল দুই নম্বরে। তিন নম্বরে আমরা রেখেছিলাম রিয়াল মাদ্রিদকে। আর পিএসজি ছিল ৪ নম্বরে। সিটি ছাড়া আরও দুটি ইংলিশ ক্লাব তালিকায় ছিল, যারা বেশ ভালো দল। দলগুলো হলো, লিভারপুল ও চেলসি। বার্সেলোনাও সেখানে ছিল। এগুলো একই সারিতে ছিল।’