এমবাপ্পের আরেকবার বদলি নামার রাতে শিরোপার অপেক্ষা বাড়ল পিএসজির
ঘরের মাঠে জিতলেই নিশ্চিত ফ্রেঞ্চ লিগ আঁর শিরোপা। প্রতিপক্ষও আবার অবনমন অঞ্চলের দল লে হাভ্রে। সব মিলিয়ে পিএসজির জন্য মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল। প্যারিসে সমর্থকেরাও হয়তো শিরোপা উৎসবের প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে গিয়েছিল। কিন্তু ম্যাচ জিতে শিরোপা উৎসব দূরে থাক, কোনোরকমে হার এড়িয়ে মাঠ ছেড়েছে পিএসজি। হাভ্রের সঙ্গে যোগ করা সময়ের গোলে ৩-৩ ব্যবধানে ড্র করেছে তারা।
এ ড্রয়ে ৩১ ম্যাচ শেষে পিএসজির পয়েন্ট এখন ৭০। ৩০ ম্যাচে দুইয়ে থাকা মোনাকোর পয়েন্ট ৫৮। এখনো কাগজে–কলমে শিরোপা জেতার সুযোগও আছে মোনাকোর। সে ক্ষেত্রে নিজেদের সব ম্যাচ জেতার পাশাপাশি পিএসজিকে সব ম্যাচ হারতে হবে। শুধু অবশ্য এটুকু করলেই হবে না। পরের চার ম্যাচ থেকে মোনাকোকে ঘুচাতে হবে পিএসজির সঙ্গে ২৯ গোলের ব্যবধানও।
বোঝাই যাচ্ছে, মোনাকোর শিরোপা জেতার সম্ভাবনাটা আসলে শুধু কাগজে-কলমেই। এটিকে বাস্তবতায় রূপ দিতে একের পর এক অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে হবে পিএসজি ও মোনাকোর। তবে এত হিসাবের মধ্যে না গিয়ে আজ রাতেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারে পিএসজি। সে জন্য আজ রাতে লিওঁর মাঠে মোনাকোর পয়েন্ট হারালেই চলবে। এই ম্যাচে মোনাকো হারলে বা ড্র করলে পরের ম্যাচগুলো দিয়ে পিএসজিকে ছোঁয়া সম্ভব হবে না তাদের।
প্যারিসে গতকাল রাতেও এমবাপ্পেকে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান লুইস এনরিকে। দলের অন্যতম সেরা তারকাকে ছাড়াই প্রথমার্ধে ২-১ গোলে পিছিয়ে যায় পিএসজি। বিরতির পরই অবশ্য উসমান দেম্বেলের জায়গায় মাঠে নামানো হয় এমবাপ্পেকে। তবে এই পরিবর্তনও ম্যাচে ফেরাতে পারেনি পিএসজিকে। উল্টো ৬১ মিনিটে পেনাল্টি গোলে ব্যবধান ৩-১ করে হাভ্রে।
এরপর পিছিয়ে থাকা পিএসজির হয়ে ৭৮ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান আশরাফ হাকিমি। আর ম্যাচে যখন পিএসজি হারের অপেক্ষায় তখন পিএসজির হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন গনসালো রামোস।
কাগজে না জিতলেও শিরোপা যে হাতের মুঠোয় ম্যাচ শেষে সেটি জানিয়ে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, ‘আজ রাতে কোনো সন্দেহ ছাড়াই আমরা লিগ জিতে নিয়েছি। গোল ব্যবধান বিবেচনায় নিয়ে আমরাই চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছি।’