২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

চ্যাম্পিয়নস লিগ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেও

২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চ্যাম্পিয়নস লিগ আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিনছবি : টুইটার

এক দেশের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা আরেক দেশে কিংবা এক মহাদেশের টুর্নামেন্ট অন্য মহাদেশে আয়োজন নতুন কিছু নয়।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা আইপিএল একাধিকবার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়েছে। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) শুরুটা তো আরব আমিরাতেই।

২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার ১০০ বছর পূর্তিতে টুর্নামেন্ট হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তো স্প্যানিশ ও ইতালিয়ান সুপার কাপ বিদেশেই বেশি হয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, কাতার এমনকি চীনেও।

আইপিএল ও পিএসএল বাইরে আয়োজনের পেছনে বড় কারণ জাতীয় নির্বাচন, করোনার প্রাদুর্ভাব ও নিরাপত্তা–শঙ্কা। কিন্তু ইউরোপীয় ফুটবলের ক্ষেত্রে তা নয়। মূলত বহির্বিশ্বের বাজার ধরতেই অন্য দেশ বা মহাদেশে ঘরোয়া লিগ আয়োজন করে এসেছে স্প্যানিশ, ইতালিয়ান ফেডারেশন ও কনমেবল। এবারও উয়েফাও সে পথে হাঁটতে চলেছে।

সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে চ্যাম্পিয়নস লিগ আয়োজন করতে পারে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। ফাইনালও হতে পারে মার্কিন মুলুকে। ‘মেন ইন ব্লেজার্স’ পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন। তিনি বলেছেন, ‘এটা সম্ভব, খুবই সম্ভব। এ নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করেছি। ২০২৪ সালে ইউরো আছে, এর এক বছর পরই (২০২৬) বিশ্বকাপ। এ বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল হবে ইস্তাম্বুলে, ২০২৪ সালে লন্ডনে আর ২০২৫ সালে মিউনিখে। এরপর আমরা আয়োজন (যুক্তরাষ্ট্রে) করতে পারি। যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল এখন খুবই জনপ্রিয়। সেরা খেলোয়াড়দের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে আমেরিকানরা পয়সা খরচ করতে রাজি। ইউরোপের বাস্কেটবলপ্রেমীরা যেভাবে এনবিএ অনুসরণ করে আসছে, আমেরিকানরাও একইভাবে ইউরোপীয় ফুটবল অনুসরণ করবে।’

আরও পড়ুন

এটা উয়েফার অর্থ উপার্জনের নতুন ‘ফন্দি’ নয় বলেও নিশ্চিত করেছেন সেফেরিন, ‘ভবিষ্যতের জন্য প্রতিশ্রুতিশীল বাজার তৈরি করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিভিন্ন স্বত্ব স্বচ্ছতার সঙ্গে বিক্রি করে আসছি। যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে আছে। সেখানকার বাণিজ্যিকীকরণ ইউরোপের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। ইউরোপের ফুটবলপ্রেমীরা ভাবতে পারে, এটা আমাদের আয়ের নতুন ফন্দি। কিন্তু আমি হাজারবার বলেছি আবারও বলছি, আমরা ৯৭% অর্থ পুনর্বণ্টন করি। আমাদের রাজস্বের পরিমাণও ব্যাপক। একটা বিষয় জানার পর বিস্মিত হয়েছিলাম। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ এনবিএ ফাইনালের চেয়ে ২০২০ ইউরোর ফাইনাল বেশি দেখেছিল। মনে হয়, আমরা ভালোই করছি।’

আরও পড়ুন