আল হিলালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখাই করেননি এমবাপ্পে
কী করতে চাইছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে?
এমবাপ্পের জন্য ৩০ কোটি ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল সৌদি ক্লাব আল হিলাল। এ প্রস্তাবে রাজি হলেই দলবদলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়ে ক্লাবটিতে যেতেন এমবাপ্পে।
পিএসজি আল হিলালকে অনুমতি দিয়েছিল এমবাপ্পের সঙ্গে দলবদল নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলার। কিন্তু ইএসপিএন ও লেকিপ জানিয়েছে, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যালকমের সঙ্গে চুক্তি করতে এ মুহূর্তে প্যারিসে অবস্থান করা আল হিলালের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখাই করেননি এমবাপ্পে।
দলবদল নিয়ে অনেক দিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে পিএসজি-এমবাপ্পের মধ্যে। পিএসজির সঙ্গে এমবাপ্পের বর্তমান চুক্তি ২০২৪ সাল পর্যন্ত। তবে সেখানে দুটি শর্ত আছে। দুই পক্ষের সম্মতিতে সেটা আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো যাবে। যদি এমবাপ্পে সেই চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে না চান, তা হলে এক বছর আগেই জানিয়ে দিতে হবে।
তার মানে, ২০২৪ সালের ৩০ জুনের পর যদি এমবাপ্পে পিএসজিতে থাকতে না চান, তা হলে তাঁকে এ বছর জুনের মধ্যেই সেটা পিএসজিকে জানিয়ে দেওয়ার কথা। এমবাপ্পে চিঠি দিয়ে জানিয়েও দিয়েছেন, ২০২৪ সালের জুনের পর আর পিএসজিতে থাকবেন না। তাঁর এ সিদ্ধান্তে নাখোশ পিএসজি। ক্লাবটি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘গেলে এখনই যাও, নইলে চুক্তি বাড়াও।’ এমনকি আসছে মৌসুমে এমবাপ্পেকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখার হুমকিও দিয়েছে পিএসজি।
এমবাপ্পেকে কিনতে আগ্রহী রিয়াল মাদ্রিদ। তিনি নিজেও যে মাদ্রিদেই খেলতে চান, সে কথা অনেকবার বলেছেন। তবে এত টাকা খরচ করে এমবাপ্পেকে এখনই কেনার প্রয়োজন কী, আগামী বছর জুনের পরই যিনি ‘ফ্রি এজেন্ট’ বা মুক্ত খেলোয়াড় হয়ে যাবেন, এক বছর অপেক্ষা করলেই তো হয়! সব মিলিয়ে এমবাপ্পে-পিএসজির টানাপোড়েন কমার বদলে বেড়েই চলছে।
তবে এর মধ্যেও এমবাপ্পে এখন সৌদির ফুটবলে যেতে রাজি নন। এর চেয়ে মৌসুম শেষে মুক্ত খেলোয়াড় হিসেবে রিয়ালে যেতে চান। যেখানে সাইনিং বোনাস হিসেবে ১০ কোটি ইউরো পেতে পারেন এমবাপ্পে। আর এ মৌসুমে পিএসজি থেকে বোনাস পাওয়ার কথা ৮ কোটি ইউরো। সব মিলিয়ে টাকার অঙ্কটা বেশ বড়ই।
এমবাপ্পে না গেলেও তাঁর পিএসজি সতীর্থ মার্কো ভেরাত্তি আল হিলালে যোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে ইএসপিএন।