কেইনের জন্য খারাপ লাগছে টুখেলের
টটেনহাম মূল দলে হ্যারি কেইনের ক্যারিয়ারটা ১৪ বছরের। আর ইংল্যান্ড দলে সেটা আট বছরের। এই সময়ে ব্যক্তিগত অর্জন কিন্তু কম নয় কেইনের। টটেনহাম ও ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতাও এই স্ট্রাইকার।
কিন্তু এত কিছু পাওয়ার পরও কেইনের ক্যারিয়ারজুড়ে শিরোপা-হাহাকার। এখন পর্যন্ত কখনো তাঁর শিরোপা উৎসব করা হয়নি। সর্বোচ্চ অর্জন চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোতে রানার্সআপ হওয়া। সেই আক্ষেপ ঘুচাতে এবারের দলবদলে টটেনহামকে বিদায় বলে কেইন গেছেন বায়ার্ন মিউনিখে।
এমনকি যেদিন কেইনকে বায়ার্ন নিজেদের খেলোয়াড় ঘোষণা করেছে, সেদিনই কিন্তু তাঁর হাতে উঠতে পারত শিরোপা। সেটি হলে কী এক নাটকীয় ব্যাপার ই না হতো!
কিন্তু ফুটবল–বিধাতা লিখে রেখেছিলেন ভিন্ন কিছু। জার্মান সুপার কাপের ফাইনালে আরবি লাইপজিগের কাছে তাঁর নতুন দল বায়ার্ন বিধ্বস্ত হলো ৩–০ গোলে। তাই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার আক্ষেপটা শেষ পর্যন্ত থেকেই গেল কেইনের।
ম্যাচ শেষে শিরোপা জিততে না পারা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বায়ার্ন কোচ টুখেল। জানিয়েছেন শিরোপা জিততে না পেরে কেইনের জন্যও তাঁর খারাপ লাগার কথা।
সাধারণত দলে যোগ দেওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো খেলোয়াড়কে মাঠে নেমে যেতে দেখা যায় না। কিন্তু কেইনকে শিরোপা জেতার উপলক্ষ দিতেই কি না গতকাল ম্যাচের ৬৪ মিনিটে মাঠে নামান টুখেল। অবশ্য কেইন নামার আগেই বায়ার্ন পিছিয়ে ২–০ গোলে। মাঠে নেমে আর তেমন কোনো প্রভাব রাখতে পারেননি এই স্ট্রাইকার। শেষ পর্যন্ত আরেকটি ফাইনালে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে।
কেইনকে নিয়ে ম্যাচ শেষে টুখেল বলেছেন, ‘ওর জন্য আমার কষ্ট হচ্ছে। আমরা মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারিনি। আমরা ওর জন্য যথেষ্ট করতে পারিনি।’
কেইনের কাছ থেকে কেমন প্রত্যাশা, তা জানিয়ে টুখেল আরও বলেছেন, ‘আমরা আশা করতে পারি না যে সে সুপারহিরো হবে। সে যেমন, তেমনই হোক। দারুণ মানুষ, শীর্ষ গোলদাতা এবং দারুণ ব্যক্তিত্ব। সে আমাদের অনেক সাহায্য করবে। তার আমাদের কাছ থেকে শেখার কিছু নেই। আমাদের তার কাছ থেকে শিখতে হবে।’