আরতেতা থেকে আলোনসো: ইউরোপে বাস্ক–ফুটবলের সুবাস ছড়াচ্ছেন যাঁরা
ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর অন্যতম বাস্ক। স্বাধীনতার জন্য তাদের লড়াইয়ের ইতিহাসও বেশ দীর্ঘ। ‘ইউস্কেরা’ নামে তাদের ভাষাটিও প্রাচীন। এতই প্রাচীন যে এই ভাষার উৎপত্তিও অজানা। এমনকি ইউস্কেরার কাছাকাছি বা সাদৃশ্যপূর্ণ কোনো ভাষারও নাকি অস্তিত্ব নেই!
কথিত আছে, বাস্ক অঞ্চলের লোকেরা নাকি দৈত্যদানবের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেও বেশ পছন্দ করে। বাস্কদের একটি অংশের বসবাস ফ্রান্সের অংশে, অন্যটি স্পেনে। লড়াকু এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ধারায় বয়ে চলা বাস্কদের ফুটবলীয় সাফল্য সামান্যই। ইউরোপিয়ান ফুটবল দূর অস্ত স্প্যানিশ ফুটবলেও বাস্ক ক্লাবগুলো কখনো সেভাবে দাপট দেখাতে পারেনি। আলাভেস, অ্যাথলেটিক বিলবাও, ওসাসুনা, রিয়াল সোসিয়েদাদের মতো ক্লাবগুলো বছরের পর বছর শুধুই খেলেই গেছে, সাফল্য ধরা দিয়েছে কদাচিৎ।
বিলবাও ৮ বার লা লিগা শিরোপা জিতেছে বটে, কিন্তু সর্বশেষটি সেই ১৯৮৩–৮৪ মৌসুমে। সোসিয়েদাদ লিগ শিরোপা জিতেছে দুবার, সর্বশেষটি ১৯৮১–৮২ মৌসুমে। ফুটবলে লম্বা সময় ধরে বাস্ক ক্লাবগুলোর ধারাবাহিক ব্যর্থতার যৌক্তিক ও ঐতিহাসিক কারণও আছে। তবে এই লেখা সে প্রসঙ্গে নয়। আর সাফল্যই যে শেষ কথা নয়, সেটিও এই লেখার শেষ দিকে গিয়ে স্পষ্ট হবে। এ লেখাটি মূলত সেই মানুষদের নিয়ে, যাঁরা সাম্প্রতিক সময়ে বাস্কদের গৌরব পুনরুদ্ধারের এগিয়ে এসেছেন। তাঁদের আগমন শুধু বাস্কদের মর্যাদাই ফিরিয়ে দেয়নি, বরং ফুটবলেও নিয়ে এসেছে নতুন দিনের গান।
মিকেল আরতেতা, জাবি আলোনসো, উনাই এমেরি, হুলেন লোপেতেগি, ইমানোল আলগুয়াচিল এবং আন্দোনি ইরাওলা—চমকে যাওয়ার মতো সব নামই বটে। ইউরোপ মাতানো এই কোচদের উত্থান এই বাস্ক থেকেই। এর বাইরে জাগোবা আরাসাতের মতো কোচের নামও তালিকায় রাখা যেতে পারে, যিনি ওসাসুনার হয়ে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছিলেন।
তবে আঞ্চলিক এই মানচিত্রকে চাইলে আরও ছোট করে আনা যায়। গিপুসকোয়া নামের ৭ লাখ ২৫ হাজার বসতির একটি প্রদেশ থেকেই মূলত এই কোচদের উঠে আসা। স্পেনের মোট সংখ্যার মাত্র ১.৫ শতাংশের বাস এই অঞ্চলে। অথচ এই অঞ্চলের কোচরাই প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ চারের ৫০ শতাংশ এবং বুন্দেসলিগার শীর্ষ স্থানে শতভাগ দখল করে আছেন।
ইউরোপিয়ান ফুটবলে বাস্ক অঞ্চলের কোচদের এমন জাদুকরি উত্থান খুব কাছ থেকে দেখেছেন মাইকেল ইটস্কারি। বাস্ক ফুটবলে ইটস্কারি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। অনেক ফুটবল কোচের কাছে যিনি সন্তর মতো এবং কেউ কেউ তাঁকে আবার কৌশলগত গুরুও মানেন। শুধু ফুটবল জ্ঞানেই নয়, কথা বলায়ও বেশ সতর্ক ও সংবেদনশীল এই মানুষের কাছে বাস্ক কোচদের নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সব সময় একটা কথা বলি, আপনি যখন গিপুসকোয়া বা বাস্ক কান্ট্রির প্রশংসা করতে যাবেন, তখন সতর্ক থাকতে হবে, যেন অন্য প্রদেশকে ছোট করা না হয়।’
বাস্ক অঞ্চলের ফুটবলীয় বিশেষত্ব সম্পর্কে নিজের মত তিনি প্রকাশ করেন এভাবে, ‘একজন কোচের নেতৃত্বে দলগত কাজের মতো করেই বাস্ক অঞ্চলের মানুষেরা নিজেদের গড়ে তোলে। এই অঞ্চলে এমন অনেক খেলা রয়েছে, যা সরাসরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেমন মাল তোলা কিংবা পাথর উত্তোলন। আর এই প্রচেষ্টাটুকু সব সময় খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত।’
রিয়াল সোসিয়েদাদ কোচ আলগুয়াচিলও ইটস্কারির কথার সঙ্গে একমত। তবে এই আগুয়াচিলের কোচ হওয়া নিয়ে কিছুটা বিস্ময়ই প্রকাশ করেছেন এ ফুটবল পণ্ডিত, ‘সে কোচ হবে, সেটা আমি প্রত্যাশা করিনি। সে খুবই অন্তর্মখী মানুষ। তবে তার সব কিছু মাপা এবং অনেক পরিশ্রমীও। এরপরও আমি কখনো তাকে ডাগআউটে দেখার কথা ভাবিনি।’
জানিয়ে রাখা ভালো ২০১৮ সালে আলগুয়াচিল দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অভূতপূর্ব উন্নতি দেখিয়েছে সোসিয়েদাদ। এ নিয়ে টানা পাঁচ মৌসুমে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছে ক্লাবটি। এমনকি গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগেও দ্বিতীয় রাউন্ডেও খেলেছে সোসিয়েদাদ। আর এই বাস্ক কোচের অধীন ক্লাবটির সবচেয়ে সাফল্য ২০১৯–২০ মৌসুমে বাস্ক প্রতিপক্ষ বিলবাওকে হারিয়ে কোপা দেল রে জয়।
আলগুয়াচিলকে কোচিংয়ে না দেখলেও উনাই এমেরিকে সব সময় কোচ হিসেবেই দেখে এসেছেন ইটস্কারি, ‘যাকে আমি বেঞ্চে কল্পনা করতে পারি, সে উনাই এমেরি। শুধু তার যোগাযোগের ক্ষমতার জন্যই নয়। তার শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের জন্যও। যদিও সে গিপুসকোয়াতে কোনো শিরোপা জেতেনি, কিন্তু সে সব সময় বিপ্লবী ধারায় কাজ করে গেছে।’
এমেরিকে অবশ্য নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। সেভিয়ার হয়ে টানা তিন মৌসুমে ইউরোপা লিগ জিতে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ করেছেন এমেরি। সব মিলিয়ে তিনি ইউরোপা লিগ জিতেছেন ৪ বার। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে অ্যাস্টন ভিলার হয়ে দারুণ চমক উপহার দিয়েছেন এই বাস্ক কোচ। তাঁর হাত ধরেই ৪২ বছর পর ইউরোপের শীর্ষ স্তরের প্রতিযোগিতায় ফিরেছে অ্যাস্টন ভিলা।
বাস্ক থেকে উঠে আসাদের তালিকায় জ্বলজ্বল করছে মিকেল আরতেতার নামও। আর্সেনালকে নিয়ে টানা দুই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রাণপণ লড়াই করেছেন আরতেতা। দুইবারই শেষ মুহূর্তে গিয়ে হাতছাড়া করতে হয়েছে শিরোপা। কিন্তু গানারদের হয়ে যে ফুটবল আরতেতা উপহার দিয়েছেন তা অনন্য। লম্বা সময় ধরে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা গানারদের মধ্যে নতুন করে বিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছেন আরতেতা। এই বাস্ক কোচের কারণেই ক্লাবটি এখন নতুন করে সাফল্যের স্বপ্নে বিভোর হয়েছে।
আরতেতার চেয়ে কম নন তাঁর প্রতিবেশী জাভি আলোনসোও। চলতি মৌসুমে সবচেয়ে সফল ও চমক জাগানো কোচ। বায়ার লেভারকুসেনের হয়ে অবিশ্বাস্য ফুটবল উপহার দিয়েছেন আলোনসো। টানা ৫১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পথে অজেয় থেকে জিতেছেন বুন্দেসলিগা শিরোপা। ইউরোপা লিগ ফাইনালে হারলেও এখন পর্যন্ত আলোনসো ও লেভারকুসেন যা অর্জন করেছেন, তাঁদের ইতিহাসের পাতায় অমর করে রাখতে যথেষ্ট।
আরতেতা ও আলোনসো দুজনই বেড়ে উঠেছেন সান সেবাস্তিয়ান শহরের কালে মাতিয়া এলাকায়। কে জানত, সান সেবাস্তিয়ানের আলো–বাতাসে একই সময়ে বড় হয়ে উঠছেন ফুটবলের ধারণা বদলে দেওয়া দুই কোচ। ইঙ্গিত অবশ্য তখনই পাওয়া যাচ্ছিল। যুবদলে একসঙ্গে খেলেছিলেন তাঁরা। এরপর আলোনসো যান সোসিয়েদাদে আর আরতেতা বার্সায়। এরপর ভিন্ন এক দেশে গিয়েও একে অপরের সঙ্গ ছাড়তে পারেননি তাঁরা। আলোনসো যখন লিভারপুলে খেলছিলেন, তখন তাঁদের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী এভারটেনই খেলছিলেন আরতেতা। আর এখন কোচ হিসেবেও একই সঙ্গে ফুটবলকে ভিন্ন এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন একই শহর থেকে উঠে আসা এ দুই কোচ।
প্রশ্ন হচ্ছে, বাস্ক অঞ্চল থেকে এমন সব হাইপ্রোফাইল কোচ উঠে আসার কারণ কী? আরতেতা একবার মজা করে বলেছিলেন, ‘আমাদের খাবার বিশ্বসেরা। কয়েক মিটারের মধ্যে সেরা সেরা সব রেস্টুরেস্ট। সবচেয়ে সুন্দর শহর। এসবের মধ্যে (দুর্দান্ত সব কোচ উঠে আসা খাবরের) সংযুক্তি আছে।’
আরতেতা মজা করে এই কথা বললেও, গিপুসকোয়ার বাতাসে নিশ্চয় কিছু এটা আছে। তবে বাস্তবিক কারণগুলো পর্যালোচনা করলে শুরুতে আসবে এখানকার ফুটবল সংস্কৃতির কথা। শুরুতে বাস্ক অঞ্চলের ক্লাবগুলো সাফল্য ঘাটতির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সাফল্যই শেষ কথা নয়! শুধু এ নিক্তিতে বাস্ক ফুটবলকে মাপার সুযোগ নেই। এর সংস্কৃতির শিখর অনেক গভীরে প্রোথিত। বিলবাওয়ের কথাই ধরা যাক। ১৮৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ক্লাবটি সেই তিন স্প্যানিশ ক্লাবের একটি, যারা কখনো শীর্ষ স্তর থেকে অবনমিত হয়নি।
১৯৮০–এর দশকে কাছাকাছি সময়ে এ অঞ্চলের দুই ক্লাব সোসিয়েদাদ ও বিলবাওয়ের লিগ শিরোপা জেতার কথা তো আগেই বলা হয়েছে। স্থানিক ঐক্যকে গুরুত্ব দেওয়া এই ক্লাবগুলো সব সময় আশপাশের ফুটবল প্রতিভাকে বাছাই করে পরিচর্যার কাজ করেছে। স্থানীয়ভাবে অসংখ্যা প্রতিভাবান ফুটবলার তুলে এনেছে এই ক্লাবগুলো। আর যাদের গড়ে তোলার দায়িত্ব তারা অর্পণ করেছিল স্থানীয় কোচদের কাছেই। আনখোরা প্রতিভাদের বাছাই ও তৈরির কঠিন প্রক্রিয়ায় মূলত তৈরি করেছে বাস্ক কোচদের। আরতেতা–এমেরিরা সরাসরি বাস্ক অঞ্চলে কোচিং না করালেও ভিত্তিটা মূলত এখানেই তৈরি হয়েছে, কারও খেলোয়াড় হিসেবে কারও আবার অন্য কোনো ভূমিকায়। এই অঞ্চলে স্থানীয় কোচদের গুরুত্ব এত যে গত দুই বছরে কেবল গিপুসকোয়ার ৭০০ কোচকে কোচিংয়ের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।
বাস্ক কোচদের সাফল্যের দ্বিতীয় কারণ কঠোর পরিশ্রম। জাতিগতভাবেই পরিশ্রমী হিসেবে খ্যাতি আছে এই অঞ্চল এবং জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের। পরিশ্রমই মূলত আরতেতা–এমেরি–আলোনসোদের সাফল্যে অন্যতম কারণ। ফুটবলের প্রতি নিজেদের যে ভালোবাসা, সেটিকে পরিশ্রমের মাধ্যমে পুড়িয়ে খাঁটি সোনায় রূপান্তরিত করেন তাঁরা। ফলে সেভিয়া, ভিয়ারিয়াল, সোসিয়েদাদ, অ্যাস্টন ভিলা কিংবা লেভারকুসেনের মতো তথাকথিত মাঝারি মানের দলগুলোকেও তারা নিয়ে আসতে পারেন সেরাদের কাতারে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক গভীরতা, শক্তিশালী আত্মপরিচয়, বিকাশের আকাঙ্ক্ষা এবং প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঐতিহ্যও এই কোচদের সাফল্যকে সিলাগালা করেছে।
ঐক্যবদ্ধভাবে কোনো লক্ষ্য অর্জনের মনোবৃত্তিও এই অঞ্চলের কোচদের বিকাশে বড় ভূমিকা রেখেছে। আরতেতার সঙ্গে খেলা জন আয়েরবি যেমনটা বললেন, ‘এখানকার সংস্কৃতি হচ্ছে সবকিছু ঐক্যবদ্ধভাবে করা। এই অঞ্চলে সব কিছু করা হয় দলগতভাবে। বাকিদের ওপর আধিপত্য দেখিয়ে এখানে কেউ আলাদা হওয়ার চেষ্টা করে না। এখানকার সমাজ ব্যবস্থায় এই দর্শন অনেক গভীরে বিস্তৃত। এটাই আপনারা আরতেতা এবং আলোনসোর মধ্যে দেখতে পাবেন। তারা বুদ্ধিমান কিন্তু নিরহংকারী।’
বাস্ক কোচদের সাফল্যের পেছনে অ্যান্টিগুওকো সম্পৃক্ততাও বড় ভূমিকা রেখেছে। আরতেতা, ইরাওলা এবং আলোনসো সান সেবাস্তিয়ানের এই ক্লাবের বয়সভিত্তিক দলে খেলে বড় হয়েছেন। কিশোর ফুটবলারদের পরিচর্যায় বেশ খ্যাতি আছে ক্লাবটির। এই ক্লাবটির ফুটবল দর্শন মূলত পজেশনভিত্তিক কৌশলের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই দর্শনকে নিজেদের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েছেন আরতেতা–আলোনসোরা, যা দারুণ ফলদায়ীও বটে। অ্যান্টিগুওকোর সভাপতি রবার্তো মন্তিয়েল কোচদের এই উত্থান নিয়ে বলেন, ‘আমরা এমন ক্লাব, যারা শিক্ষা, আনন্দ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রতি মনোযোগ দিই। এখানে ফুটবলের প্রতি আবেগই শেষ কথা। আমাদের স্লোগান হচ্ছে, যদি আমি পাগল হই, তবে আমি অ্যান্টিগুওকোতেই আছি।’
গুরুমুখী বিদ্যার প্রতি আকর্ষণও বাস্ক কোচদের গড়ে উঠতে সাহায্য করেছে। আরেততা লা মাসিয়া থেকে বের হয়ে খেলেছেন আর্সেন ওয়েঙ্গারের মতো কিংবদন্তির অধীনে। এরপর ম্যানচেস্টার সিটিতে কাজ করেছেন পেপ গার্দিওলার সহকারী হিসেবে। আলোনসো আবার এই শিক্ষা পেয়েছেন রাফায়েল বেনিতেজ, জোসে মরিনিও, কার্লো আনচেলত্তি এবং গার্দিওলার কাছ থেকে। এই কিংবদন্তিতুল্য কোচদের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষাকে তাঁরা একলব্যের মতো ধরে রেখেছেন নিজেদের অন্তরে।
এবার আরতেতার সেই কথায় ফিরে যাওয়া যাক। হ্যাঁ, এক অর্থে এটা সত্যি যে খাবারই গড়ে তুলেছে আরতেতা–আলোনসো–এমেরিদের। কারণ, খাবারের সাদৃশ্যতাই ইঙ্গিত দিচ্ছে অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গগুলোর মিলের দিকেও। এসব তাঁরা বাস্ক থেকে বহন করে নিয়ে গেছেন ইংল্যান্ড–জার্মানিতেও, যা একই সময়ে তাদের সাফল্যের কারণও বটে। তাই আলোনসো–আরতেতারা এখন শুধু খাবারের রুচিই নয়, ছড়িয়ে দিচ্ছেন বাস্ক ফুটবলের সৌন্দর্যও।