ক্লপ চলে যাওয়ার পর আরামে ঘুমাতে পারবেন গার্দিওলা
টটেনহামের নতুন মাঠে কখনোই জিততে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। এমনকি এই মাঠে ৫ ম্যাচ খেলে কোনো গোলও করতে পারেনি তারা। গতকাল রাতে এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছিল। ৮৮ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য ড্রয়ে সমতায় ছিল ম্যাচ। এরপরই টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়ামের ‘ডেডলক’ ভাঙেন নাথান একে। কেভিন ডি ব্রুইনার কর্নার থেকে বল জালে জড়ান একে।
গোলের বৈধতা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন টটেনহামের খেলোয়াড়। তাঁদের অভিযোগ, গোলের আগে গোলরক্ষক গুগলিয়েলমো ভিসারিওকে ফাউল করেছেন সিটির রুবেন দিয়াজ। এরপর অবশ্য ভিএআরে যাচাই করে দেখে গোলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন রেফারি। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয়ে এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ডে পৌঁছে গেছে ম্যান সিটি।
গোলটা দেরিতে এলেও এ ম্যাচে দাপট ছিল সিটিরই। ৫৭ শতাংশ বলের দখল রাখা সিটি এদিন ১৮টি শট নিয়ে ৫টি লক্ষ্যে রাখে, অন্যদিকে টটেনহাম পুরো ম্যাচে মাত্র ১টি শট নিতে পেরেছে। ম্যাচ শেষে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টির কথা বলেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাও, ‘আজ আমাদের পারফরম্যান্স অবিশ্বাস্য রকমের ভালো ছিল। প্রথম মিনিট থেকে ৯৫ মিনিট পর্যন্ত সবকিছুই আমাকে তৃপ্ত করেছে। আমরা শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে আছি। আর এখানকার লড়াইটাও অনেক কঠিন ছিল।’
ম্যাচ শেষে গার্দিওলার সামনে ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল ছাড়া নিয়ে প্রশ্নটা স্বাভাবিকভাবেই এসেছে। এমন খবরে ধাক্কা খেয়েছেন কি না, তা জানতে চাইলে গার্দিওলা বলেছেন, ‘কিছুটা। সে একজন দুর্দান্ত কোচ। আমি তাকে কাছ থেকে চিনি না, কিন্তু আমি জানি যে সে একজন অসাধারণ মানুষও। সবাই তাকে মিস করবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে মিস করব। আমি আনন্দিতও; কারণ, সে না থাকায় লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আমি আরেকটু আরামে ঘুমাতে পারব। আমি তাকে শুভকামনা জানাতে চাই।’
এ সময় ক্লপের দম ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি যৌক্তিক দাবি করে গার্দিওলা বলেছেন, ‘অনেক দিন কাজ করলে সব কোচই এটা (ক্লান্তি) অনুভব করেন। এটা পুরোপুরি বুঝতে পারি। এটা বার্সেলোনায় অনুভব করেছি, তাই এগুলো বুঝি।’