আর্জেন্টিনার গোলকিপার মার্তিনেজ ‘সবচেয়ে ঘৃণিত মানুষ’
আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ বিশ্বকাপ জয়ের পর কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে বেশ মজা করেছেন। তাতে আর্জেন্টাইনরাও কম মজা পাননি। তবে সবার তা ভালো লাগবে না।
ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী সেন্টারব্যাক আদিল রামিরেরই যেমন তা ভালো লাগেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মার্তিনেজের সমালোচনা করেছেন ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।
বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকারে একটি শটও ঠেকিয়ে দেন কাতার বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন গ্লোভস’জয়ী মার্তিনেজ। বিশ্বকাপ জয়ের পর উদ্দাম উদ্যাপনে মাতেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার। এর মধ্যে টেনে আনেন ফ্রান্সের হয়ে ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ম্যাচটি ৩-৩ গোলে অমীমাংসিত ছিল।
ড্রেসিংরুমে মেসিরা যখন উদ্যাপন করছিলেন, তখন হুট করেই সবাইকে থামিয়ে দেন মার্তিনেজ। সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সতীর্থদের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠেন, ‘এক মিনিটের নীরবতা।’ এটুকু বলে মার্তিনেজ ক্ষণিকের জন্য থামেন। এরপর গানের সুরে বলেন, ‘এমবাপ্পের জন্য, যে মরে গেছে!’
ব্যাপারটি সংবাদমাধ্যমে আসার পর অনেকেরই তা ভালো লাগেনি। মার্তিনেজ এখানেই থেমে যাননি। আর্জেন্টিনায় ফিরে ছাদখোলা বাসে শোভাযাত্রার সময়ও এমবাপ্পেকে খুঁচিয়েছেন। ফ্রান্সের ক্লাব ত্রয়েসের ৩৬ বছর বয়সী মিডফিল্ডার রামি এতেই চটেছেন।
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মার্তিনেজকে উদ্দেশ করে রামি লেখেন, ‘সবচেয়ে ঘৃণিত মানুষ।’ আরেকটি পোস্টে রামি নিজের মন্তব্যও জানান—মরক্কোর গোলকিপার ইয়াসিন বুনুর ‘গোল্ডেন গ্লোভস’ জেতা উচিত ছিল বলে মনে করেন রামি। বিশ্বকাপে মাত্র ৩ গোল হজম করেন বুনু। পিএসজি তারকা এমবাপ্পেকেও নিয়েও একাধিক পোস্ট করেন রামি।
সেভিয়ার হয়ে ইউরোপা লিগজয়ী রামি মনে করেন আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতে যতটা না আনন্দিত, তার চেয়ে বেশি আনন্দ করছে এমবাপ্পেকে হারিয়ে।
কাতার থেকে আর্জেন্টিনায় ফেরার পর পরশু ছাদখোলা বাসে বুয়েনস এইরেসে মেসি-মার্তিনেজদের নিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয়। সেদিন ছিল এমবাপ্পের জন্মদিনও। তাঁকে নিয়ে মজা করতে ছাদখোলা বাসে একটি পুতুল হাতে নিয়ে দাঁড়ান মার্তিনেজ। সেই পুতুলের মুখটা ছিল এমবাপ্পের। অর্থাৎ পুতুলের মুখে এমবাপ্পের মুখের ছবি বসানো হয়। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে।