মেসির ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে যা বললেন আয়ালা
২০২২ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই ঘুরেফিরে আসছে প্রসঙ্গটি। লিওনেল মেসি কি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন? মেসি নিজে বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি। কাতার বিশ্বকাপকে নিজের শেষ বিশ্বকাপ উল্লেখ করলেও ২০২৬-এর দুয়ার পুরোপুরি বন্ধ করে দেননি মেসি।
মেসি সরাসরি কিছু না বললেও বিশ্বকাপের পর থেকে তাঁর সতীর্থ ও কোচিং স্টাফরা মেসিকে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনা দলে দেখতে চাওয়ার কথা বলেছেন। ২০২৬ বিশ্বকাপে মেসিকে পাওয়ার কথা একাধিকবার বলেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। সে ধারাবাহিকতায় এবার মেসির সাবেক সতীর্থ ও আর্জেন্টিনা দলের সহকারী কোচ রবার্তো আয়ালাও তাঁর বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন।
জাতীয় দলের হয়ে খেলাটা মেসি উপভোগ করছেন জানিয়ে আয়ালা বলেছেন, ‘আমি বিষয়টা নিয়ে ম্যাচ ধরে ধরে ভাবছি। এরপর কোপা আমেরিকায় কী হয়, আমরা তা দেখব। সে কোন অবস্থায় আছে, তা–ও যাচাই করা হবে। তবে সিদ্ধান্তটা পুরোপুরিভাবে তার কাছ থেকেই আসবে। সে কীভাবে চালিয়ে যেতে চায়, সেটা তার ওপর নির্ভর করছে। সে এখন দারুণ উপভোগ করছে। যখনই সে খেলার জন্য দলে যোগ দিচ্ছে, সময়টা বেশ উপভোগ করছে।’
এর আগে বিষয়টি নিয়ে সর্বশেষ মেসি বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছি। আমি এটা নিয়ে ভাবছি না। আবার এটাও শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলছি না যে আমি সেখানে (পরের বিশ্বকাপে) থাকব না। কারণ, যেকোনো কিছু হতে পারে। মূল কারণ আমার বয়স। আমার সেখানে না থাকাটাই স্বাভাবিক। দেখা যাক কী হয়।’
মেসির জন্য অপেক্ষার পাশাপাশি তাঁর বিকল্প তৈরি রাখার কথাও এ সময় বলেছেন আয়ালা, ‘আমাদের আরেকজন খেলোয়াড় প্রস্তুত রাখতে হবে।’ তবে মেসির মতো কাউকে পাওয়া যে সহজ নয়, সেটাও স্বীকার করেছেন সাবেক এই সেন্টারব্যাক। এরপরও যাঁরা সুযোগ পাবেন, তাঁদের সেই সুযোগ কাজে লাগানোর তাগিদ দিয়েছেন আয়ালা।
বিশ্বকাপ অবশ্য এখনো দূরের পথ। মেসির সামনে এখন কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। তবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামার আগে মেসিকে নিয়ে আছে দুশ্চিন্তাও। সাম্প্রতিক সময়ে চোট ও ক্লান্তিতে কাবু হয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনা ও ইন্টার মায়ামির হয়ে বেশ কিছু ম্যাচে খেলতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ৩৭ ছুঁই ছুঁই মেসির শরীর ও পারফরম্যান্সেও বয়সের ছাপ স্পষ্ট। তাই ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে মানসিভাবে ফিট থাকলেও শারীরিকভাবে মেসি প্রস্তুত থাকবেন কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।