‘আমরা বোনাস তো দূরের কথা, একটি ঘড়ি উপহার পাওয়ার যোগ্যও নই’—বলছেন গার্দিওলা
পেপ গার্দিওলার কথা শুনে ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়দের মন খারাপ হওয়ার কথা। স্প্যানিশ কোচ যে বলেছেন, ক্লাব বিশ্বকাপ জিতলেও তাঁকে ও সিটির কোনো খেলোয়াড়কে বোনাস বা আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া উচিত হবে না।
গত সপ্তাহে নতুন কাঠামোর ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপের আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে ফিফা। ১৪ জুন থেকে শুরু সেই বিশ্বকাপ জিতলে ৯.৭ কোটি পাউন্ড বা প্রায় ১৫২৪ কোটি টাকা অর্থ পুরস্কার পেতে পারে সিটি।
আমরা যদি (ক্লাব বিশ্বকাপ) জিতি, তাহলে ঠিক কত বোনাস পাব, আমার জানা নেই। তবে পেলে সেটি পুরোপুরিই ক্লাবের। কোচ, ব্যাকরুম স্টাফ, খেলোয়াড়—আমরা বোনাস তো দূরের কথা, একটি ঘড়ি উপহার পাওয়ার যোগ্যও নই।পেপ গার্দিওলা, ম্যানচেস্টার সিটি কোচ
তবে এবার এ মৌসুমে সিটি যেমন খেলেছে, সেটি মনে করিয়ে দিয়ে গার্দিওলা বলেন, তাঁর দল ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে বিপুল আর্থিক পুরস্কার ঘরে তুললেও ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনো উপহার দেওয়া উচিত হবে না। এবার প্রিমিয়ার লিগে সিটি এই মুহূর্তে আছে পাঁচে। চ্যাম্পিয়নস লিগ ও কারাবাও কাপ থেকেও বিদায় নিয়েছে সিটি। এখন সিটির শিরোপা সম্ভাবনা টিকে আছে শুধু এফএ কাপে।
এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আগামীকাল বোর্নমাউথের বিপক্ষে খেলবে সিটি। সেই ম্যাচকে সামনে রেখে এক সংবাদ সম্মেলনে গার্দিওলাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ক্লাব বিশ্বকাপের সম্ভাব্য আয় নিয়ে। সেখানে বোনাস নিয়ে কথা বলেন টানা চারবারের প্রিমিয়ার লিগ জয়ী সিটি কোচ, ‘এই মৌসুমে আমরা কোনো বোনাস পাওয়ার যোগ্য নই। আমরা যদি (ক্লাব বিশ্বকাপ) জিতি, তাহলে ঠিক কত বোনাস পাব, আমার জানা নেই। তবে পেলে সেটি পুরোপুরিই ক্লাবের। কোচ, ব্যাকরুম স্টাফ, খেলোয়াড়—আমরা বোনাস তো দূরের কথা, একটি ঘড়ি উপহার পাওয়ার যোগ্যও নই।’
শুধু মাঠের পারফরম্যান্সই নয়, সিটির মাথার ওপর ঝুলছে আর্থিক নীতি ভঙ্গের শাস্তির খড়্গও। আর্থিক নীত ভাঙার ১১৫টি অভিযোগ সিটির বিরুদ্ধে। সিটি শাস্তি পাবে কি না, সেটি জানা যাবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই।
দোষ প্রমাণিত হলে বিপুল অঙ্কের জরিমানার পাশাপাশি পয়েন্ট কাটা হতে পারে সিটির। তবে নিজেদের সব সময়ই নির্দোষ দাবি করে আসা সিটি কোচ মনে করেন, শাস্তির আশঙ্কা খেলোয়াড়দের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না, ‘(কী হবে সেটি জানার জন্য) তো এক বছরের বেশি সময় ধরেই অপেক্ষা করছি। এক, দুই, তিন বা চার সপ্তাহে আর কী হবে।’