আর্জেন্টিনা–স্পেনের ফিনালিসিমা কি তবে যুক্তরাষ্ট্রেই

কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনএএফপি

একই দিন ইউরো ও কোপা আমেরিকার ফাইনাল শেষ হওয়ার পরই আলোচনায় আসে ফিনালিসিমা। দুই মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার এই ম্যাচ নিয়ে শুরু হয় নানা জল্পনাকল্পনা। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই ম্যাচটি হওয়ার কথাও শোনা যায়। তবে হতাশার খবর আসতেও দেরি হয়নি।

আর্জেন্টাইন সাংবাদিক গাস্তন এদুল জানান, সূচি–জটিলতার কারণে ফিনালিসিমার আয়োজন নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। চলতি বছরের বাকি সময় এবং আগামী বছর স্পেন ও আর্জেন্টিনা দুই দলই আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্যস্ত সময় পার করবে। যে কারণে এই ম্যাচটি আয়োজনের জন্য উপযুক্ত দিন–তারিখ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন

আয়োজন নিয়ে অবশ্য যত শঙ্কাই থাকুক, আয়োজক হতে এরই মধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে অনেকেই। কদিন আগে শোনা গিয়েছিল, এই ম্যাচটির আয়োজক হতে চায় আর্জেন্টিনার ক্লাব রিভার প্লেট। নিজেদের মাঠ স্তাদিও এল মনুমেন্তালে দুই দলকে আতিথ্য দিতে চায় তারা। রিভার প্লেটের এই চাওয়ার পক্ষে আছে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনও।

আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে বুয়েন্স এইরেসের নতুন করে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেন। তবে ইউরোপিয়ান সংবাদগুলো বলছে, শেষ পর্যন্ত হয়তো এই ম্যাচটি আয়োজিত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেই।

লা ফিনালিসিমা জয়ের শিরোপা হাতে মেসিদের উদ্‌যাপন
রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের কোন মাঠে এই ম্যাচটি আয়োজিত হবে, সেটা অবশ্য এখনো জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নিউইয়র্কেই হতে পারে এই ম্যাচটি। আর ২০২৫ সালে আয়োজন করা না গেলে এই ম্যাচের জন্য সম্ভাব্য সময় হিসেবে ভাবা হচ্ছে ২০২৬ সালের মার্চকে। যদিও এখনো কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়।

এদিকে অন্য এক খবরে জানা গেছে, ২২ আগস্ট নাকি এই ম্যাচ আয়োজন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি বৈঠকে বসবে। যেখানে নির্ধারিত হতে পারে এই ম্যাচের ভেন্যু ও দিনক্ষণ।

আরও পড়ুন

২০২২ সালে ফিনালিসিমার সর্বশেষ লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও ইতালি। ম্যাচে ৩–০ গোলে জিতে শিরোপা নিজেদের করে নেয় লিওনেল মেসির দল। ফিনালিসিমা প্রথমবার আয়োজিত হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। সেবার উরুগুয়েকে ২–০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স। এরপর দ্বিতীয় আসরে ১৯৯৩ সালে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও ডেনমার্ক। টাইব্রেকারে ডেনিশদের হারিয়ে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। এখন পরেরবার স্পেনকে হারাতে পারলে প্রতিযোগিতার হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতার সুযোগ আছে আর্জেন্টিনার।