ব্রাজিলের শীর্ষ লিগে রোনালদোর দল
পেশাদার ফুটবলে তাঁর প্রথম ক্লাব ক্রুজেইরো। ক্লাবটিতে প্রথম মৌসুম থেকেই আলো ছড়াতে শুরু করেন রোনালদো নাজারিও। দুই মৌসুম খেলে ক্রুজেইরোকে একটি ব্রাজিলিয়ান কাপ আর একটি আঞ্চলিক লিগ শিরোপা জেতান কিংবদন্তি স্ট্রাইকার।
ক্রুজেইরো ছেড়ে রোনালদো ইউরোপের ফুটবলে ঢোকেন ১৯৯৪ সালে, ডাচ ক্লাব পিএসভির হয়ে। একে একে খেলেন বার্সেলোনা, ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ ও এসি মিলানে। এরপর আবার ব্রাজিলে ফেরেন করিন্থিয়ানসের হয়ে। পেশাদার ফুটবলে সর্বশেষ ম্যাচটি তিনি খেলেন এ ক্লাবটির হয়েই।
খেলোয়াড়ি জীবনের শেষটা নিজের প্রথম ক্লাবে করতে পারেননি রোনালদো। কিন্তু ক্রুজেইরোর দুঃসময়ে ঠিকই এগিয়ে এসেছেন ব্রাজিলের ১৯৯৪ ও ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। ব্রাজিলের ফুটবলের দ্বিতীয় সারির লিগে নেমে যাওয়া ক্লাবটিকে ৯ মাস আগে কিনে নেন তিনি।
খেলোয়াড়ি জীবনে অনেক দলের শিরোপা জেতায় ভূমিকা রেখেছেন। যখন যে দলে খেলেছেন, কঠিন সময়ে সেটিকে দারুণভাবে বের করে এনেছেন। এবার নিজের প্রথম ক্লাবকে দুঃসময় থেকে বের করে আনলেন রোনালদো।
সেটা অবশ্য তাঁর মাঠে খেলোয়াড়ি দক্ষতা দিয়ে নয়, রোনালদো এবার ক্রুজেইরোকে দুঃসময় থেকে বের করে আনলেন নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে।
রোনালদোর মালিকানার দল ক্রুজেইরো ব্রাজিলের দ্বিতীয় স্তরের লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠে এসেছে শীর্ষ লিগে। সপ্তাহান্তের ম্যাচটা ক্রুজেইরো খেলতে গিয়েছিল একটা সমীকরণ নিয়ে।
ক্রুজেইরো যদি জিতে যায় এবং নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রেমিও ও বাহিয়া যদি হারে, তাহলেই শীর্ষ লিগে উঠবে তারা। সবকিছুই ক্রুজেইরোর হিসাব অনুযায়ী হয়েছে।
দলের এই সাফল্যের কৃতিত্ব সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভাগ করে দিয়েছেন রোনালদো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘আমি এখনো বাক্রুদ্ধ, গত কয়েক মাসে যা হয়েছে, সব এখন একত্র করছি।’
রোনালদো এখানেই থামেননি। তিনি আরও লিখেছেন, ‘ক্লাবের বোর্ড থেকে সমর্থক, টেকনিক্যাল কমিটি থেকে বেঞ্চ, পর্দার অন্তরালে থাকা মানুষ থেকে সামনে থাকা সবাইকে ধন্যবাদ।’