শেষ ১০ মিনিটে হ্যাটট্রিক: সব রেকর্ড এখন ইউনাইটেডের
প্রিমিয়ার লিগে ৮১ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঘরের মাঠে আরেকটি হার মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। ম্যানুয়াল উগের্তার আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর সাউদাম্পটনও তখন দেখছিল জয়ের স্বপ্ন। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকে কী যেন ভর করল আমাদ দিয়ালোর ওপর। আর তাতেই শেষ ১০ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক করে ফেললেন এই আইভোরিয়ান।
আমাদের হ্যাটট্রিকের সুবাদে ইউনাইটেড সাউদাম্পটনকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে। এই জয়ে ঘরের মাঠে লিগে টানা চতুর্থ হারও ঠেকাল ইউনাইটেড। এই ম্যাচ হারলে ১৯৩০ সালের পর এই প্রথম টানা চার হারের স্বাদ পেত ওল্ড ট্রাফোর্ডের ক্লাবটি।
দলকে বিব্রতকর রেকর্ডের হাত থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে একাধিক মাইলফলক গড়েছেন আমাদ। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে হ্যাটট্রিক করলেন এই আইভোরিয়ান।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, তাঁর আগে যে দুজন এই কীর্তি গড়েছিলেন তাঁরাও ছিলেন ইউনাইটেডের। ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে ওলে গুনার সুলশার এবং ২০১০ সালের জানুয়ারিতে হাল সিটির বিপক্ষে শেষ ১০ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ওয়েইন রুনি।
গতকাল হ্যাটট্রিকের সময় আমাদের বয়স ছিল ২২ বছর ১৮৯ দিন। এর ফলে ইউনাইটেডের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেলেন তিনি। এর আগে ২১ বছর ৪ দিনে বোল্টন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রুনি।
ম্যাচ শেষে হ্যাটট্রিক করা আমাদকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিম। বলেছেন, ‘সে দারুণ কাজ করেছে। কিন্তু এখনো তাঁর অনেক উন্নতি করতে হবে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড় হিসেবে তার দায়িত্বও বাকিদের মতোই। তবে সে দারুণ ছন্দে আছে এবং খুব ভালো একটি মৌসুম পার করছে।’