এমবাপ্পে ব্যালন ডি’অর জিততে চান বলেই কি ফ্রান্সের হয়ে কম খেলছেন

ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ঘিরে নতুন বিতর্কইনস্টাগ্রাম

ফ্রান্সের ফুটবলে কিলিয়ান এমবাপ্পে এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। বিতর্কের শুরুটা হয়েছিল দিদিয়ের দেশমের ঘোষিত ফ্রান্স দল থেকে এমবাপ্পের ছিটকে যাওয়া দিয়ে। সে সময় এমবাপ্পের দল থেকে বাদ পড়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল চোটের কথা।

যদিও কাছাকাছি সময়ে লিলের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। এমনকি দেশম নেশনস লিগের দল ঘোষণার পর রিয়াল–ভিয়ারিয়াল ম্যাচের একাদশেও ছিলেন এমবাপ্পে।

সে সময় এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ফ্রান্সের অনেক সমর্থক ও সাবেক ফুটবলাররা। তখন গুঞ্জন শোনা যায়, এমবাপ্পে নিজেই ফ্রান্সের হয়ে নেশনস লিগের ম্যাচ দুটি খেলতে চাননি। অনেকে আবার বলেছিলেন, রিয়াল মাদ্রিদ তাঁকে নেশনস লিগে না খেলানোর অনুরোধ করেছে।

পরে অবশ্য এ গুঞ্জন উড়িয়ে দেন দেশম। ফরাসি কোচ বলেন, এই দুই ম্যাচে এমবাপ্পে নিজে থেকে ছুটি নেননি বা রিয়ালেরও এ ব্যাপারে কোনো চাহিদা ছিল না। এটা কোচের নিজের সিদ্ধান্ত। দেশম সে সময় বলেছিলেন, ‘কেউ কোনো অনুরোধ করেনি। (এমবাপ্পেকে না রাখার) সিদ্ধান্তটা আমারই।’

এমবাপ্পের সঙ্গে কোচ দেশম
এএফপি

দেশমের এ কথার পরও অবশ্য বিতর্ক থামছে না। বরং আরও কিছু ঘটনা বিতর্কের পালে বাড়তি বাতাস দিয়েছে। এর মধ্যে দল যখন নেশনস লিগে ব্যস্ত সময় পার করছিল, তখন এমবাপ্পেকে দেখা গেছে সুইডেনের এক নৈশ ক্লাবে। এ খবর সামনে আসার পর আবার সমালোচনা শুরু হয় এমবাপ্পেকে নিয়ে। এ ঘটনায় অবশ্য সতীর্থদের পাশেই পেয়েছেন এই রিয়াল তারকা।

আরও পড়ুন

এমবাপ্পের নৈশ ক্লাব–বিতর্ক নিয়ে দলের সেন্টারব্যাক ওয়েইসলি ফোফানা বলেছেন, ‘অবসর সময়ে মানুষ যা খুশি করতে পারে। এটা এমন কিছু নয়, যা নিয়ে আমরা দলের মধ্যে কথা বলেছি। আমি বিষয়টা সম্পর্কে শুনিওনি। সে যা চায়, তাই করে। সে দারুণ একজন মানুষ এবং দারুণ পেশাদারও।’

এই বিতর্ক শেষ হওয়ার আগেই অবশ্য আরও বড় বিতর্ক সামনে এসেছে। ফুটবলভিত্তিক ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফুট মেরকাতো জানিয়েছে, এমবাপ্পে নাকি দেশমকে বলেছেন—তিনি ফ্রান্সের হয়ে শুধু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোই খেলতে চান।

আরও পড়ুন

এই মুহূর্তে তাঁর চোখ ২০২৫ সালের ব্যালন ডি’অরে। আর যেহেতু এখন অতিরিক্ত ম্যাচ খেলার চাপ আছে, তাই ফিট থাকতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। এ খবর শেষ পর্যন্ত সত্যি হলে এমবাপ্পের সঙ্গে জাতীয় দল ও ফ্রান্স সমর্থকদের মধ্যে শুরু হওয়া অস্থিরতা সামনে আরও বাড়তে পারে, যা এমবাপ্পে কিংবা ফ্রান্স কারও জন্যই সুখকর হবে না।