শেষ ৬ ম্যাচের ১টিতে জিতে জার্মানির কোচ বললেন, ‘আমিই যোগ্য ব্যক্তি’
ভাগ্যিস, স্বাগতিক হওয়ার কারণে জার্মানিকে ইউরো বাছাই খেলতে হচ্ছে না! নয়তো ২০২৪ ইউরো খেলা কঠিনই হয়ে যেত জার্মানির জন্য। একের পর এক হারে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়েছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সর্বশেষ গতকাল রাতে প্রীতি ম্যাচে তারা হেরেছে জাপানের কাছে।
শুধু হেরেছে বললে অবশ্য ভুল হবে। ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে হানসি ফ্লিকের দল। এর আগে বিশ্বকাপেও জাপানের কাছে হেরেছিল জার্মানি। এদিকে গতকালের এই হারের পর ফ্লিকের চাকরি হারানোর শঙ্কা আরও বেড়েছে। একাধিক ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, যেকোনো মুহূর্তে চাকরিচ্যুত হতে পারেন এই জার্মান কোচ।
২০১৮ বিশ্বকাপের পর থেকেই মূলত ব্যর্থতার পথে হাঁটা শুরু জার্মানির। এরপর ২০২১ ইউরো এবং ২০২২ বিশ্বকাপেও হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় জার্মানিকে। রাশিয়ার পর কাতারেও প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের। এমনকি বিশ্বকাপে পাওয়া ধাক্কাও জার্মানির শীতনিদ্রা ভাঙতে পারেনি। ব্যর্থতার ধারা ভাঙতেই পারছে না তারা। সর্বশেষ ১২ ম্যাচের মাত্র ৩টিতে জিতেছে জার্মানি। আর বিশ্বকাপের পর খেলা ৬ ম্যাচের মাত্র ১টিতে জিতেছে তারা। সেটিও আবার পেরুর বিপক্ষে।
এই ম্যাচগুলোর ৪টিতেই হেরেছে তারা, ড্র করেছে একটি। এমনকি সর্বশেষ তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই হেরেছে। ইউরোর এক বছর আগে দলের এমন পারফরম্যান্স বিপাকে রেখেছে কোচ ফ্লিককেও। জার্মান দলের সাফল্য ক্ষুধা ও লড়াকু মনোভাব যেন কোথায় হারিয়ে গেছে। দলের খেলোয়াড়েরাও যেন হাল ছেড়ে দিয়েছেন। এদিকে গুঞ্জন আছে ফ্লিকের চাকরি হারানোরও।
এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের পরও আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন না ফ্লিক। বলেছেন, জার্মানির কোচের হিসেবে তিনিই যোগ্য ব্যক্তি, ‘আমি জানি ফুটবলে বেশ বৈচিত্র্যময় এবং কী হবে, তা নিয়ে আগাম কিছু বলা যায় না। তবে আমার দিক থেকে আমি দলকে ভালোভাবে প্রস্তুত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমার মনে হয়, আমরা ভালো করছি এবং আমি এ কাজের জন্য যোগ্য ব্যক্তি।’
নিজে আত্মবিশ্বাসী হলেও সমর্থক এবং জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলো কোচের ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে। এরই মধ্যে গত জুনে কলম্বিয়ার কাছে হারের পর একাধিক জার্মান সংবাদমাধ্যম অনলাইনে জরিপ চালিয়েছে, ফ্লিক আসলেই জার্মান ফুটবল দলের জন্য সঠিক ব্যক্তি কি না! একইভাবে ভোটাভুটি শুরু হয়েছে গতকালের হারের পরও। এমনকি জার্মান ফুটবল ফেডারেশন নাকি ফ্লিককে বাদ দেওয়ার কথাও ভাবছে। সব মিলিয়ে ফ্লিকের দায়িত্ব হারানো এখন সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে।