মৌসুম শুরু হতে না হতেই মাঠের বাইরে ডি ব্রুইনা
চোট যেন পিছু ছাড়ছে না কেভিন ডি ব্রুইনার। গত জুনে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ৩৬ মিনিটেই মাঠ ছাড়তে হয়। সেই চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরে আবারও চোটে পড়েছেন এই মিডফিল্ডার। মৌসুমের শুরুতেই ছিটকে গেছেন বেলজিয়ান তারকা। যে চোটে কিছুদিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে ডি ব্রুইনাকে, জানিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে চোট পাওয়ার পর ৬৩ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন ডি ব্রুইনা। যদিও মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় এই সময়ে খুব বেশি ম্যাচ মিস করেননি, সিটির হয়ে এই সময়ে খেলতে পারেননি মাত্র ৩ ম্যাচ।
সেই চোট কাটিয়ে গত রোববার আর্সেনালের বিপক্ষে কমিউনিটি শিল্ডের ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি। আর্সেনালের বিপক্ষে বদলি হিসেবে নামলেও বার্নলির বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে ছিলেন শুরুর একাদশে। কিন্তু বেশিক্ষণ খেলতে পারেননি ডি ব্রুইনা। চোটে পড়ে ২৩ মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। এরপর চলতি গ্রীষ্মে সিটিতে যোগ দেওয়া মাতেও কোভাচিচকে নামান গার্দিওলা।
ডি ব্রুইনা গত মৌসুমে বেশ কয়েক দফা চোটে ভুগেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাসে দুই দফা চোটের কারণে ১১ দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে, মিস করেন ৪ ম্যাচ।
ডি ব্রুইনার চোট নিয়ে গার্দিওলা গতকাল ম্যাচ শেষে যে ধারণা দিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট যে কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে তাঁকে, ‘দুর্ভাগ্যবশত, ডি ব্রুইনা আবারও চোট পেয়েছে। চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো সেই একই জায়গায় এবং তাকে কিছুদিনের জন্য বাইরে থাকতে হবে। চোটের মাত্রার ওপর নির্ভর করছে, কত দিন তাকে বাইরে থাকতে হবে।’
গত মৌসুমে ম্যান সিটির হয়ে ১০ গোল ও ৩১টি গোলে সহায়তা করা ডি ব্রুইনাকে শুরুর একাদশে রাখা ভুল ছিল কি না—এ প্রশ্নে গার্দিওলা বলেছেন, ‘সম্ভবত, তবে ১৫ কিংবা ২০ মিনিট পর যেটা হতে পারে, সেটা ক্লান্ত পেশির কারণে ৬০, ৬৫, ৭০ মিনিট পরও হতে পারে। চিকিৎসক ও তার সঙ্গে আমাদের কথা বলতে হবে।’