বার্সার পাঁচ গোলে ফেলিক্সের দুই
আগের দুই আসরে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেই হতশ্রী অবস্থা বদলাতে এবার মরিয়া ছিল তারা। যে কারণে শুরু থেকেই হয়তো আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়েছে কাতালান ক্লাবটি।
আর বার্সার এই আগ্রাসী রূপের সামনে রীতিমতো খড়কুটোর মতো উড়ে গেল বেলজিয়ান ক্লাব অ্যান্টওয়ার্প। বার্সার জয়ে জোড়া গোল করেছেন ফেলিক্স। একটি করে গোল করেছেন রবার্ট লেভানডফস্কি এবং গাভি। আর অন্য গোলটি ছিল আত্মঘাতী।
এদিন অ্যান্টওয়ার্পের বিপক্ষে বার্সেলোনার এগিয়ে যেতে সময় লাগে মাত্র ১১ মিনিট। বার্সায় এসে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাওয়া জোয়াও ফেলিক্সের গোলে লিড নেয় বার্সা। শুরুতে রবার্ট লেভানডফস্কির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ফেলিক্সের উদ্দেশে বাড়ান ইলকাই গুন্দোয়ান। সেই বলকে দারুণ ফিনিশিংয়ে জালের পথ দেখান ফেলিক্স।
এই গোলের রেশ কাটার আক্রমণের ধারায় দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় বার্সা। এবার গোল করেন লেভা। এই গোলেও ছিল ফেলিক্সের অবদান। ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের বাড়ানো থ্রো বল ধরে ফেলিক্স বাড়ান লেভার উদ্দেশে। ওয়ান টাচ ফিনিশিংয়ে বাকি কাজটা সহজে সেরে ব্যবধান ২-০ করেন পোলিশ স্ট্রাইকার।
২২ মিনিটে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে সেই ব্যবধান ৩-০ করে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে যায় অ্যান্টওয়ার্প। এরপর প্রথমার্ধের বাকি সময়েও ছিল বার্সার দাপট। যদিও বিরতির আগে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি তারা।
বিরতির পর ৫৪ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন গাভি। লেভার অ্যাসিস্ট থেকে গোলটি করেন এই স্প্যানিয়ার্ড। আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে ৬৬ মিনিটে দ্বিতীয় ও দলের ৫ম গোলটি আদায় করে নেন ফেলিক্স। রাফিনিয়ার ক্রস থেকে দারুণ হেডে বল জালে জড়ান এই পর্তুগিজ তারকা।
পাঁচ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর সুযোগ আরও এসেছিল বার্সার জন্য। এমনকি চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বকণিষ্ঠ গোলদাতা হওয়ার সুযোগও এসেছিল লামিনে ইয়ামালের সামনে। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ইয়ামাল। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না পেলেও বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বার্সা।
একই রাতে রুদ্বশ্বাস লড়াইয়ের পর নাটকীয়ভাবে আতলেতিকো মাদ্রিদকে রুখে দিয়েছে লাৎসিও। এদিন ২৯ মিনিটে পাবলো বারিওসের গোলে এগিয়ে যায় আতলেতিকো। এরপর সমতা ফেরানোর জন্য লাৎসিওকে অপেক্ষা করতে হয়েছে যোগ করা সময়ের ৫ মিনিট পর্যন্ত। সেই সমতাসূচক গোলটি তারা পেয়েছে আবার গোলরক্ষকের মাধ্যমে। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোলরক্ষক ইভান প্রোভেডেলও উঠে আসেন ওপরে। আর সতীর্থ লুইস আলবার্তোর ক্রসে দারুণ এক হেডে দলকে সমতাতেও ফেরান এই গোলরক্ষক।