প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা দৌড়ে যত নাটকীয় ধস
২০০৩–০৪ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্সেনাল। আর্সেন ওয়েঙ্গারের সেই দলটা পেয়েছিল ‘দ্য ইনভিনসিবল’ বা ‘অজেয়’ তকমা। এরপর ১৯ বছর হতে চললেও আর লিগ জেতা হয়নি গানারদের।
দেড় যুগের বেশি সময় পর এবার লিগ জয়ের আশা জাগিয়েছিল আর্সেনাল। প্রায় পুরো মৌসুম দাপটের সঙ্গে খেলেছে মিকেল আরতেতার তরুণ দলটা। সব মিলিয়ে ২৪৮ দিন ছিল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। সেই দলই কিনা শেষে এসে সব গুবলেট পাকিয়ে ফেলল! গত এপ্রিল থেকে অবিশ্বাস্য ছন্দপতনে শীর্ষ স্থান খুইয়েছে আর্সেনাল। এ সময়ে টানা ৮ ম্যাচ জিতে লিগ শিরোপা ধরে রাখা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি।
ট্রফি–ছোঁয়া দূরত্বে থেকে আর্সেনালের মতো অবিশ্বাস্য পতন, এটাই প্রথম নয়। ১৯৯৬ সালে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের মনস্তাত্ত্বিক খেল থেকে ২০১৪ সালে স্টিভেন জেরার্ডের পা হড়কানো—এ রকম বেশ কয়েকটি নাটকীয় ধসে শিরোপা জলাঞ্জলি দিতে হয়েছিল দলগুলোকে। সেসব ঘটনায় ফিরে যাওয়া যাক—
নিউক্যাসল: ১৯৯৫–৯৬ মৌসুম
১৯২৭ সালের পর কখনোই ইংল্যান্ডের শীর্ষ স্তরের ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়নি নিউক্যাসল। সুযোগটা এসেছিল ১৯৯৫–৯৬ মৌসুমে। একসময় দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল নিউক্যাসল। তখন মনে হচ্ছিল, নিউক্যাসলের ৬৯ বছরের আক্ষেপ ঘোচানো সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সে সময় স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নিউক্যাসল কোচ কেভিন কিগান। ফার্গির ইউনাইটেডের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকায় কিছুটা দাম্ভিকতা দেখিয়েছিলেন কিগান। বিষয়টি তাতিয়ে দিয়েছিল ফার্গিকে। মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি শুরু হয় কথার লড়াই। তবে একসময় চুপচাপ থেকে কিগানের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক খেল শুরু করেন ফার্গুসন।
১২ পয়েন্টের ব্যবধান ধীরে ধীরে কমাতে থাকে ইউনাইটেড। এরই মধ্যে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচে লিভারপুলের কাছে ৪–৩ ব্যবধানে হারে নিউক্যাসল। ছন্দপতন শুরু হয় সেখান থেকে। অবিশ্বাস্যভাবে শেষ দুই ম্যাচেও ড্র করে নিউক্যাসল। আর ইউনাইটেড মিডলসবরাকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড: ১৯৯৭–৯৮ মৌসুম
মানুষ নাম মনে রাখতে না পারলেও চেহারা নাকি ঠিকই মনে রাখে। ব্যারি ফের্স্ট নামের কোঁকড়ানো চুলের এক পাঁড় আর্সেনালভক্তকে আজীবন মনে রাখার কথা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমর্থকদের। ঘটনাটা ১৯৯৮ সালের ১৪ মার্চের। টিভি ক্যামেরা হঠাৎ মাঠ থেকে দর্শকদের দিকে ঘুরিয়ে নেওয়া হয়। দেখা যায়, ব্যারি ফের্স্ট আনন্দের আতিশয্যে ভেসে যাচ্ছেন। তাঁর এই উত্তেজনা বোধগম্য ছিল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে যে মার্ক ওভারমার্সের শেষ মুহূর্তের গোলে জয় পায় আর্সেনাল!
এ জয়েও অবশ্য শীর্ষে থাকা ইউনাইটেডের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিল আর্সেন ওয়েঙ্গারের আর্সেনাল। হাতে ছিল মাত্র তিন ম্যাচ। ঘরের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে সেই হার হজম করতে পারেননি ফার্গুসন। ওয়েঙ্গারের দলের খেলার ধরন ও সমর্থকদের আত্মসংযম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি, ‘আজ (সেই দিন) ওরা ভালো খেলেছে। তবে ওরা আমাদের মতো ভালো ফুটবল দল নয়।’
আর্সেনাল কোনোভাবেই চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না, সেই ভবিষ্যদ্বাণীও করে বসেন ফার্গি, ‘ওরা যদি বাকি ম্যাচগুলো জেতে, তাহলে আমাদের চেয়ে এগিয়ে যাবে। কিন্তু মৌসুমের শেষ দিকে গিয়ে ওরা পয়েন্ট হারাতে থাকবে। এ নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে না।’
ফার্গুসনের এই আত্ম অহংকার শেষ পর্যন্ত ফলেনি। আর্সেনাল কোনো পয়েন্টই হারায়নি। ইউনাইটেডের বিপক্ষে ওই ম্যাচসহ টানা ১০ ম্যাচ জিতে নেয় গানাররা। ফার্গির ইউনাইটেডের চেয়ে ১ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েঙ্গারের আর্সেনাল।
আর্সেনাল: ২০০২–০৩ মৌসুম
আগের মৌসুমে শিরোপা জিতে যেন আকাশে উড়ছিল আর্সেনাল। তারপর সে মৌসুমেই লিগ জয়ের পথেই ছিল। ৭ ম্যাচ বাকি থাকতে দুইয়ে থাকা ইউনাইটেডের চেয়ে এগিয়ে ছিল ৮ পয়েন্ট ব্যবধানে। এরপরও সাংবাদিকেরা আর্সেন ওয়েঙ্গারকে প্রশ্ন করেছিলেন, আর্সেনাল কি শিরোপা ধরে রাখতে পারবে? জবাবে ওয়েঙ্গার বলেছিলেন, ‘অবশ্যই। কোনো ক্লাবের সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। আমরা এখন পর্যন্ত খুবই ধারাবাহিক।’
এরপরেই ছন্দপতন হয় আর্সেনালের। ঘরের মাঠে ইউনাইটেডের সঙ্গে ২–২ গোলের ড্রয়ের পর বোল্টনের সঙ্গেও একই স্কোরলাইনে ম্যাচ শেষ করে। বোল্টনের বিপক্ষে ২ গোলে এগিয়ে গিয়ে শেষ ১৫ মিনিটে ২ গোল খেয়ে বসে আর্সেনাল। ওয়েঙ্গার প্রথমবার স্বীকার করতে বাধ্য হন, লিগের লাগাম তাঁর দলের হাতে নেই, ‘মৌসুমে এই প্রথম লিগের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই। এটা মেনে নেওয়া কঠিন।’ এরপর লিডসের বিপক্ষেও হেরে যায় আর্সেনাল। সব মিলিয়ে শেষ ৭ ম্যাচে মাত্র দুটিতে জিততে পারে তারা। এই ধাক্কা আর কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। আর্সেনালকে ৫ পয়েন্টের ব্যবধানে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হয় ফার্গুসনের ইউনাইটেড।
আর্সেনাল: ২০০৭-০৮ মৌসুম
ঘটনাটা ২০০৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারির। টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত আর ৫ পয়েন্ট ব্যবধানে শীর্ষে থেকে বার্মিংহামের মাঠে খেলতে গিয়েছিল আর্সেনাল। তবে সেদিন ওয়েঙ্গারের শিষ্যদের দেখে বোঝা গেছে দলে কতটা একাগ্রতার অভাব। ম্যাচের তিন মিনিটেই মার্টিন টেইলরের ভয়ানক ট্যাকলে পা ভেঙে যায় আর্সেনাল ফরোয়ার্ড এদুয়ার্দোর। স্বাভাবিকভাবেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে টেইলরকে।
দশজনের বার্মিংহামের বিপক্ষে ২–১ ব্যবধানে এগিয়েও গিয়েছিল গানাররা।
কিন্তু ম্যাচের যোগ করা সময়ে গায়েল ক্লিচির ভুলে পেনাল্টি পায় বার্মিংহাম। এ অবস্থায় কোথায় সতীর্থের পাশে দাঁড়াবেন, তা নয়; আর্সেনাল অধিনায়ক উইলিয়াম গালাস রাগ করে গিয়ে বসে থাকেন বার্মিংহামের অর্ধে। পেনাল্টি থেকে জেমস ম্যাকফাডেন যখন সমতা আনেন, তখনো গালাস সেখানেই। এমনকি রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর পরেও!
ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিটখানেক পর ব্যাপারটা চোখে পড়ে ওয়েঙ্গারের। তিনি বুঝিয়ে–সুঝিয়ে শিষ্যকে মাঠের বাইরে নিয়ে যান। গালাসের এমন আচরণকে এখনো ‘ক্ষমার অযোগ্য’ মনে করে থাকে আর্সেনাল সমর্থকেরা।
সেদিন ওই ড্রয়ের পরেই আর্সেনালের দুদর্শার শুরু। লিগের শেষ ৭ ম্যাচে মাত্র একটিতে জিততে পারে তারা। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় নয়, তৃতীয় হয়ে লিগ শেষ করে গানাররা। চ্যাম্পিয়ন হয় ইউনাইটেড।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড: ২০১১–১২ মৌসুম
‘এটা হাল ছেড়ে দেওয়া, ওদের পরম উপহার দেওয়া। মনে হচ্ছে এটা একধরনের প্রতারণা। ঘরের মাঠে ৪ গোল উপহার দেওয়া..এটা আমি বিশ্বাস করি না’—রেগে লাল হয়ে বলছিলেন অ্যালেক্স ফার্গুসন। ওল্ড ট্রাফার্ডে ৪–২ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ দিকে ৩ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল খেয়ে ড্র করে ইউনাইটেডে। ফার্গির ক্ষোভে ফুঁসে ওঠাটা ছিল স্বাভাবিক। এ ম্যাচের দিন দশেক আগেই অবনমনের শঙ্কায় থাকা উইগান অ্যাথলেটিসকের কাছে হারে রেড ডেভিলরা। অথচ এর আগেও পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে থাকা নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ৮ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ফার্গির দল।
তবে উইগানের কাছে হার আর এভারটনের সঙ্গে নাটকীয় ড্রয়ের পর দৃশ্যপট বদলে যেতে থাকে। একসময় গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে শীর্ষে উঠে যায় সিটি। চাপটা মৌসুমের শেষ ভাগে এসে ইউনাইটেডের ওপর জেঁকে বসে। শিরোপা ধরে রাখতে হলে শেষ দুই ম্যাচেই জিততে হতো ইউনাইটেডকে। সিটিকে অন্তত এক ম্যাচে পয়েন্ট হারাতে হতো।
সোয়ানসির পর শিরোপা নির্ধারণের দিনে সান্ডারল্যান্ডকেও হারিয়ে দেয় ইউনাইটেড। ঠিক একই সময় ইতিহাদে মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলছিল সিটি। কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে সে ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্তও ২–১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল রবার্তো মানচিনির সিটি।
এরপরেই মহানাটক। ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, যেটা প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসেরই সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ শিরোপার লড়াই। যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় মিনিটে সমতা আনেন এডিন জেকো। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে জিততেই হতো সিটিজেনদের। সেই মুহূর্তটা আসে ঠিক দুই মিনিট পর। অবিস্মরণীয় গোল করে সিটিকে লিগ জেতান সের্হিও আগুয়েরো। ধারাভাষ্যকার পিটার ড্রুরির সেই ধারাবিবরণী ‘আগুয়েরো...স্ট্যাগেরিং, জাস্ট স্ট্যাগেরিং’ এখনো ফুটবলপ্রেমীদের কানে বেজে ওঠে।
লিভারপুল: ২০১৩–১৪ মৌসুম
১৯৯২ সালে ইংল্যান্ডের শীর্ষ ফুটবল আসর প্রিমিয়ার লিগ নামকরণের পর লিভারপুল এ মৌসুমেই প্রথমবার শিরোপা জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল। টানা ১১ জয়ের পথে তিনে থাকা সিটিকে ৩–২ ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষে ওঠে অলরেডরা। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে দুইয়ে থাকা চেলসির মুখোমুখি হয় তারা।
সেদিন ছিল ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল। অ্যানফিল্ডে এক উৎসবমুখর পরিবেশ। কারণ, চেলসিকে হারাতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। ম্যাচ শুরুর আগে সতীর্থদের ডেকে নেন লিভারপুল অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ড। সবার উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা এখন পা পিছলে পড়ে যেতে পারি না।’
কিন্তু হায়, ভাগ্যের কী লীলাখেলা! ম্যাচের শুরু থেকে দাপুটে খেললেও প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে নিজেদের অর্ধে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পা হড়কান খোদ জেরার্ড। লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। ছোঁ মেরে বল কেড়ে নিয়ে গোলমুখে ছোটেন চেলসির দেম্বা বা। লিভারপুল গোলরক্ষক সাইমন মিনিয়োলেকে একা পেয়ে সহজেই বোকান বা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আরেক গোল করে লিভারপুলকে হতাশায় ডোবান চেলসির উইলিয়ান। অথচ চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল সামনে রেখে ওই ম্যাচে প্রায় দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েছিলেন চেলসির তখনকার কোচ জোসে মরিনিও।
এরপরও লিগ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ ছিল লিভারপুলের। মৌসুমের শেষ ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ৩–০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল অলরেডরা। তবে শেষ ১১ মিনিটে ৩ গোল শোধ করে ম্যাচ ড্র করে ক্রিস্টাল। অবিশ্বাস্য এই ঘটনাটি ‘ক্রিস্টানবুল’ পরিচিতি পেয়েছে। ইস্তাম্বুলে ২০০৫ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে এসি মিলানের কাছে ৩ গোলে পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর অদম্য গল্প লিখে শিরোপা জিতেছিল লিভারপুল। এবার তাদেরকেই ক্রিস্টাল সেই তেতো স্বাদ দেওয়ায় ওই নামকরণ।
সেদিন রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর পর লুইস সুয়ারেজকে সান্ত্বনা দিতে থাকেন জেরার্ড। লিভারপুলকে হটিয়ে সিটি যে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে! সতীর্থ সুয়ারেজকে নির্লিপ্ত করার চেষ্টা করলেও সত্যিকারের সমর্থন আসলে জেরার্ডেরই দরকার ছিল। চেলসির বিপক্ষে পা হড়কে পড়ে যাওয়া তখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল লিভারপুল অধিনায়ককে, তাড়িয়ে বেড়ায় এখনো। ২০২০ সালে এক পডকাস্টে জেরার্ড বলেছিলেন, ‘খুব ভালো হতো যদি গালিচা তুলে সেটার নিচে চাপা দিতে পারতাম। আর কখনো ওই চিন্তা মাথায় আসত না। কিন্তু মনে হয় না, এটা কখনো আমার পিছু ছাড়বে।’