চট্টগ্রাম আবাহনীর এবারের প্রিমিয়ার লিগে খেলারই কথা ছিল না। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে আর্থিক সমস্যার কারণ দেখিয়ে না খেলার দিকেই যাচ্ছিল দলটি।
শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলের সাবেক কয়েকজন ফুটবলারের উদ্যোগে কিছু টাকা পয়সা জোগাড় করে কোনোমতে একটা দল নামিয়েছে তারা। যদিও এই দলের অনেকেই পরিচিত মুখ, জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড়।
কিন্তু আজ সন্ধ্যায় কিংস অ্যারেনায় পাঁচ বারের লিগজয়ী বসুন্ধরা কিংসের সামনে চট্টগ্রাম আবাহনীকে অসহায়ই মনে হয়েছে। কঙ্গোয় জন্ম নেওয়া ফরাসি ফুটবলার জারেদ খাসা আর রাকিব হোসেনের জোড়া গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৭–০ গোলে উড়িয়েছে কিংস।
নিজেদের মাঠ কিংস অ্যারেনায় ফ্লাড লাইটের আলোয় কিংসের গোল–উৎসব শুরু হয় ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই। খাসা এগিয়ে দেন দলকে (১–০)। এরপর ২৩ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম গোলের দেখা পান (২–০)। যদিও এর আগে ফাহিম নিশ্চিত একটি সুযোগ নষ্ট করেন। ২৯ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মিগুয়েল ফেরেইরা স্কোরলাইন ৩–০ করেন। ৩৯ মিনিটে কিংসকে ৪–০ গোলে এগিয়ে দেন খাসা।
কিংসের সামনে চট্টগ্রাম আবাহনীকে কতটা অসহায় মনে হয়েছে, সেটা একটি দৃশ্যপটেই পরিষ্কার হতে পারে পাঠকের সামনে। কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান একটা পর্যায়ে প্রায় মধ্যমাঠে উঠে এসে সতীর্থদের বল জোগান দিচ্ছিলেন। কিংসের রক্ষণের খেলোয়াড়েরা তপু বর্মণ, ইসা এজেহ, সাদউদ্দিনরা খেলছিলেন আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের স্টাইলেই। প্রথমার্ধে কিংস ৪–০ গোলে এগিয়ে থাকলেও স্কোরলাইনটা আরও বড় হতেই পারত।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিংসের আক্রমণে কিছুটা ভাটার টান ছিল। পঞ্চম গোলটি পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ৭০ মিনিট পর্যন্ত। এই অর্ধে চট্টগ্রাম আবাহনী নিজেদের কিছুটা গুছিয়ে উঠে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেছিল। তৌহিদুল আলম, ফাহিম মোরশেদ, মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ স্বাধীনরা শক্তিশালী কিংসের লড়াইয়ের চেষ্টা করেছেন।
কিংসকে ৫–০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মুজিবর রহমান জনির গোলের। স্কোরলাইন ৬–০ হয় রাকিব হোসেনের গোলে। জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড নিজের জোড়া গোল পেয়ে যান ম্যাচের ৮৪ মিনিটে। কিংস শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিতে নেয় ৭–০ গোলে।