চ্যাম্পিয়নস লিগ: বায়ার্নের ৯ গোলের ইতিহাসে কেইনের ৪
বায়ার্ন মিউনিখ ৯: ২ দিনামো জাগরেব
গোলবন্যা—দিনামো জাগরেবের বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখের ম্যাচকে এর চেয়ে সহজে বোধ হয় বোঝানো সম্ভব নয়। অবশ্য এই ‘গোলবন্যা’ শব্দটাইবা কতটা আর ধরতে পারে!
১১ গোলের ম্যাচ কি আর প্রতিদিন হয়? তবে এমন ম্যাচ না খেলতে হলেই মনে হয় বেশি খুশি হতো জাগরেব। তাদের জালে যে বল জড়িয়েছে ৯ বার। বিপরীতে তাদের করা ২ গোল ঠিক সান্ত্বনাও দিতে পারছে না। দিতে পারার অবশ্য সুযোগ নেই, এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে কোনো দল যে ৯ গোল হজম করেনি।
আর সব মিলিয়ে হিসাব করলে এই ১১ গোল চ্যাম্পিয়নস লিগের কোনো নির্দিষ্ট ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল। এর আগে ২০০৩ সালে ১১ গোল দেখা গিয়েছিল মোনাকো ও দিপার্তিভো লা করুনার ম্যাচে। সেই ম্যাচে ৮–৩ গোলে জিতেছিল মোনাকো। আর এই তালিকায় সবার ওপরে আছে ২০১৬ সালের বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও লেগিয়া ওয়ারশর ম্যাচটি। ১২ গোলের সেই ম্যাচে ৮ গোল করেছিল ডর্টমুন্ড।
বায়ার্নের এই ৯ গোলের রাতে দারুণ খেলছেন ইংলিশ তারকা হ্যারি কেইন। প্রতিপক্ষের জালে তিনি একাই বল জড়িয়েছেন চারবার। যার মধ্য দিয়ে দারুণ একটি রেকর্ডও গড়েছেন কেইন।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ইংলিশ খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ওয়েইন রুনিকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি রুনির ৩০ গোলের বিপরীতে কেইনের গোল এখন ৩৩।
আজ রাতে কেইনের চার গোলের তিনটিই অবশ্য এসেছে পেনাল্টি থেকে। ১৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে যাত্রা শুরু করেন তিনি। ৫৭ মিনিটে করা গোলটি অবশ্য পেনাল্টি ছিল না। তবে ৭৩ ও ৭৮ মিনিটে আবার পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজের এক হালি গোলের কোটা পূরণ কেইন।
বায়ার্নের জয়ে অন্যদের মধ্যে জোড়া গোল করেন মাইকেল ওলিস। আর একটি করে গোল করেন রাফায়েল গেরেরো, লেরয় সানে ও লেয়ন গোরেৎসকা। তবে একাধিক গোল বাতিল না হলে জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারত।
চ্যাম্পিয়নস লিগের এই জয়সহ সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দে আছে বায়ার্ন। বুন্দেসলিগায় শীর্ষে থাকা দলটি লিগে ৩ ম্যাচ খেলে প্রতিটিতে জিতেছে।