গত বছর ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের প্রথম আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। নিজেদের মাঠে খেলা, বড় প্রত্যাশার বিপরীতে হতাশ হতে হয়েছিল ড্যাফোডিলকে। সেই দুঃখ ভুলে এবার দলটি চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। লক্ষ্য পূরণে শুরুটাও হয়েছে দারুণ। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে ঢাকা অঞ্চলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৫-০ গোলে জয়ের পর আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ড্যাফোডিল ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে। দুই জয়ে তারা উঠেছে গ্রুপ ফাইনালেও।
ড্যাফোডিলের জার্সিতে খেলেছেন প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন ফুটবলার। আক্রমণে ছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর সোহানুর, ফাহিম মোর্শেদ, তবে তাঁরা গোল পাননি। ম্যাচে হয়েছে জোড়া হ্যাটট্রিক। মাহবুবুর রহমান ও মিজানুর রহমান করেন তিনটি করে গোল। প্রিমিয়ার লিগ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মাহবুবুর ড্যাফোডিলের প্রথম ম্যাচে সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন। নাইজেরিয়ার শিক্ষার্থী আবদুস শুকুর একটি গোল করেন।
জাতীয় দলের ডিফেন্ডার ইসা ফয়সাল আছেন এই দলে। ইসা প্রথম দুই ম্যাচে খেলননি ড্যাফোডিলের হয়ে। ড্যাফোডিলের জার্সিতে প্রথম ম্যাচটা খেলতে না পারা জাতীয় দলের আরেক ডিফেন্ডার রহমত মিয়া আজ খেলেন। দলের অষ্টম ও শেষ গোলটি তাঁর। প্রিমিয়ার লিগে এবার ব্রাদার্সে নাম লেখানো রহমত ড্যাফোডিলের জার্সিতে নেমেছেন অধিনায়ক হয়ে এবং অধিনায়কের মতোই খেলেছেন।
ডিফেন্ডার হলেও মাঝমাঠেই বেশি ছিলেন রহমত। আক্রমণ তৈরিতে রেখেছেন ভূমিকা, তৈরি করেছেন গোলের সুযোগও। এসব বিবেচনায় রহমতই পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার, যা হাতে নিয়ে রহমত বলেন, ‘গত বছর দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিই। কিন্তু গ্রুপ থেকে বিদায় নেওয়ার মতো দল নই। এই দলে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের অনেকে খেলে। এর ফলে আমরা আশা করি, এবার খুব ভালো কিছু করব।’
রহমত ধন্যবাদ জানান ড্যাফোডিল ফুটবল দলের ব্যবস্থাপকদের, যাঁদের চেষ্টায় সবাইকে একত্র করে এই টুর্নামেন্ট খেলছে দলটি। রহমতকে পেয়ে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিলের ক্যাম্পাসে আজ সকালে ম্যাচ শেষে একের পর এক ছবি তোলার আবদার মিটিয়েছেন রহমত। পুরস্কার নেওয়ার সময় তাঁকে নিয়ে স্লোগান দেন সতীর্থরা।
ড্যাফোডিলের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রহমত ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে এবারের আসরে এখন পর্যন্ত খেলা সবচেয়ে বড় তারকা।
যতক্ষণ মাঠে ছিলেন, রহমতের দিকেই চোখ ছিল সবার। রহমতও প্রত্যাশা মিটিয়েছেন দলের। তাঁর হাতে ম্যাচসেরার পুরস্কার তুলে দেন ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফউদ্দিন আহমেদ এবং ইস্পাহানি টি লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী এনায়েত খান।