সাবিনা খাতুন সংবাদ সম্মেলনে এলেন ম্যাচ বলটা হাতে নিয়ে। সাফের টুর্নামেন্টে রীতিমতো উড়তে থাকা সাবিনা আজ ভুটানের বিপক্ষে করেছেন হ্যাটট্রিক। নেপালে অনুষ্ঠানরত মেয়েদের সাফে এটি তাঁর দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। প্রথম হ্যাটট্রিকটি করেন ১০ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে, গ্রুপ পর্বে।
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আজ সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে বড় অবদান সাবিনার। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হলেন তৃতীয়বারের মতো। এবারের সাফে ৪ ম্যাচে এ পর্যন্ত সাবিনার গোল ৮টি। সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশের গোলমেশিন। বাংলাদেশের হয়ে এ পর্যন্ত সাবিনার গোল ৪৭ ম্যাচে ৩২টি। এর মধ্যে শুধু সাফেই করেছেন ২২ গোল।
২০১৬ সালে প্রথমবার সাফের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। ওই দলেরও অধিনায়ক ছিলেন সাবিনা। ছয় বছর পর আবারও ফাইনালে সাবিনার দল। এবার শিরোপা জিতে দেশে ফিরতে চান সাবিনা, ‘আজকের জয়ে আমি খুব খুশি। আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলা। আমরা ফাইনালে উঠেছি। এবার ট্রফিটা নিতে চাই।’
বাংলাদেশকে ফাইনালে তোলার সব কৃতিত্ব কোচ গোলাম রব্বানীকে দিলেন সাবিনা, ‘এই জয়ের সব কৃতিত্ব স্যারকে (গোলাম রব্বানী) দেব। মহিলা ফুটবলের শুরু থেকে উনি আছেন। ওনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল পাচ্ছেন। আমরা এই জয় স্যারকে উৎসর্গ করেছি। ওনার মতো শিক্ষক ও অভিভাবক পেয়ে আমরা উজ্জীবিত।’
এত এত রেকর্ড যাঁর নামের পাশে, সেই সাবিনাকে সংবাদ সম্মেলনে মনে হলো বিনয়ী। দলের প্রয়োজনে এভাবে গোল করতে চান আরও, ‘আমি মাঠে সব সময় সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। এবার আমরা একটা স্বপ্ন নিয়ে এখানে এসেছি। চেয়েছি দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে। আরও গোল করে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই।’
এবারের টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত কোনো গোল হজম করেনি বাংলাদেশ। মেয়েদের ফুটবলে যে অনেক উন্নতি হয়েছে, সেটাই বললেন সাবিনা, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা আগের মতো গোল হজম করতে চায় না। ভুটান চেষ্টা করেছে গোল দিতে। কিন্তু তারা আমাদের অর্ধেই আসতে পারেনি। সব কথার এক কথা, বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলের যে উন্নতি হয়েছে, সেটার প্রমাণ মাঠে আমরা দিচ্ছি।’