গোল না পেলেও যে রেকর্ড গড়লেন নেইমার
ব্রাজিলের হয়ে ফিফা অফিশিয়াল আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোলের রেকর্ডটি বলিভিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচেই ভেঙেছেন নেইমার। পেরুর বিপক্ষেও আজ গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ (৪৪ মিনিট) দিকে নেইমারের শট রুখে দেন পেরুর বেরসিক গোলরক্ষক পেদ্রো গ্যালাসে!
তবে গোল না পেলেও সতীর্থ মারকিনিওসকে দিয়ে গোল করিয়েছেন ব্রাজিল তারকা। আর তাতেই গড়েছেন নতুন এক নজির। দক্ষিণ আমেরিকা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ‘অ্যাসিস্ট’ (গোল করানো) এখন নেইমারের।
লিমায় আজ ম্যাচের ৯০ মিনিটে কর্নার থেকে নেইমারের ইনসুইং শটে হেডে গোল করেন মারকিনিওস। শেষ পর্যন্ত এই গোলকে পুঁজি করেই ১–০ ব্যবধানে জিতেছে ব্রাজিল। আর এই গোলটি করানোর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ইতিহাসে নেইমার সর্বোচ্চ ‘অ্যাসিস্ট’ করলেন বলে জানিয়েছে ফুটবলের পরিসংখ্যানভিত্তিক টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘মিস্টারচিপ’। এ নিয়ে ১৮টি গোল করালেন নেইমার। এই পথে চিলির অ্যালেক্সিস সানচেজকে পেছনে ফেলেছেন নেইমার। ট্রান্সফারমার্কেট জানিয়েছে, চিলি ফরোয়ার্ড সানচেজের ‘অ্যাসিস্ট’সংখ্যা ১৭টি।
দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২০১৫ সালে চিলির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক নেইমারের। ফুটবলের পরিসংখ্যানভিত্তিক টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘অপটা হোয়াও’ জানিয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অভিষেকের পর এ পর্যন্ত গোলে নেইমারের অবদানই বেশি। অর্থাৎ, ২০১৫ সালে নেইমারের অভিষেকের পর এই প্রতিযোগিতায় গোল করা ও করানো মিলিয়ে তাঁর চেয়ে বেশি অবদান আর কেউ রাখতে পারেননি। সব মিলিয়ে ৩৪ গোলে অবদান রেখেছেন নেইমার—গোল করিয়েছেন ১৬টি, বাকি ১৮টি গোল করেছেন নিজে।
ম্যাচ শেষে নেইমারের পারফরম্যান্স নিয়ে ব্রাজিল কোচ ফার্নান্দো দিনিজ বলেছেন, ‘নেইমারের বিপক্ষে প্রতিপক্ষের ফাউল করার প্রবণতা থাকে। তবে এটা মেনে নিচ্ছি যে, সে আজ কিছু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। তবে সে কিন্তু মাঠে পড়ে যায়নি কারণ ফাউল করা হয়নি।’
নেইমারের কর্নার থেকে ব্রাজিলের গোল পাওয়া নিয়ে দিনিজের ভাষ্য, ‘আমরা বাতাসে ভেসে আসা বল নিয়েও অনুশীলন করি। বাতাসে ভেসে আসা বল ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। আজ আমাদের দুটি গোল বাতিল হলেও বাতাসে ভেসে আসা বলে কিন্তু সুযোগ ঠিক কাজে লাগিয়েছি।’