কোপা আমেরিকার ১০৮ বছরের ইতিহাসে এবারই যা প্রথম ঘটল

গোলের পর ভেনেজুয়েলার এদুয়ার্দ বেল্লোর উদ্‌যাপনএএফপি

কোপা আমেরিকার ১০৮ বছরের ইতিহাসে আগে গোল হজম করার পর কখনোই ম্যাচ জিততে পারেনি ভেনেজুয়েলা। অন্যদিকে ২০০৭ সালের পর আগে গোল করে কখনো হারেনি ইকুয়েডর। এমন পরিস্থিতিতে ১০ জনের ইকুয়েডরের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ার পর ভেনেজুয়েলা সমর্থকেরা হয়তো আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন।

কিন্তু ইতিহাস গড়ার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামা ভেনেজুয়েলার খেলোয়াড়েরা হাল ছাড়েননি। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। দুই বদলি খেলোয়াড় জনডার কাদিজ ও এদুয়ার্দ বেল্লোর গোলে শেষ পর্যন্ত ২–১ গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে তারা। যার মধ্য দিয়ে কোপা আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম পিছিয়ে পড়ার পর জয়ের দেখাও পেল ভেনেজুয়েলা।

আরও পড়ুন

লেভি’স স্টেডিয়ামে ভালো খেলতে থাকা ইকুয়েডরের জন্য ২২ মিনিটেই ম্যাচটা অসম হয়ে পড়ে। ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডার হোসে মার্তিনেজের বুকে বুট দিয়ে আঘাত করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইকুয়েডরের স্ট্রাইকার ইনার ভ্যালেন্সিয়া। রেফারি যদিও শুরুতে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন, পরে ভিএআরে যাচাই করে সিদ্ধান্ত বদলে দেখানো হয় লাল কার্ড। ১০ জনের দল নিয়েই ভেনেজুয়েলাকে চমকে দেয় ইকুয়েডর। ম্যাচের ৪০ মিনিটে জেরেমি সারমিয়েন্তোর গোল এগিয়ে যায় তারা।

পিছিয়ে পড়লেও ভেনেজুয়েলা অবশ্য হাল ছাড়েনি। বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল তারাই। তবে ফল পাওয়ার জন্য ভেনেজুয়েলাকে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৬৪ মিনিট পর্যন্ত। বদলি নামা কাদিজের গোলে সমতায় ফেরে তারা।

মেক্সিকোর গোল উদ্‌যাপন
এএফপি

১০ মিনিট পর সুযোগসন্ধানী এক গোলে ভেনেজুয়েলাকে ২–১ গোলে এগিয়ে দেন আরেক বদলি বেল্লো। এই গোলটিই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দেয় ম্যাচে। জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ভেনেজুয়েলা। দলকে জয় এনে দিয়ে উচ্ছ্বসিত বেল্লো ম্যাচ শেষে বলেন, ‘দলের হয়ে গোল করে ম্যাচ জিততে সহায়তা করতে পারাটা দারুণ আনন্দের। এই তিন পয়েন্ট সামনে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।’

‘বি’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে জ্যামাইকাকে ১–০ গোলে হারিয়েছে মেক্সিকো। টেক্সাসে শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলেছে উত্তর আমেরিকার দেশটি। জ্যামাইকাকে চাপে রেখে একের পর এক সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু কখনো নিজেদের ভুলে আবার কখনো প্রতিপক্ষ রক্ষণের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত হয়েছে তারা।

আরও পড়ুন

শেষ পর্যন্ত ৬৯ মিনিটে জেরার্দো আর্তেগাই মেক্সিকোকে এনে দেয় স্বস্তির গোলটি। বল দখলে পিছিয়ে থাকা জ্যামাইকাও অবশ্য দারুণ কিছু সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি তারা। হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।