মাত্রই পাকিস্তানের সঙ্গে ড্র করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টিকে থাকার হাসি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন পিটার বাটলার। গত সাফে যে দলকে ৬-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ, এবার সেই দলের কাছে হারতে হারতে শেষ মুহূর্তে গোল করে ড্র? এতটা কঠিন হলো কেন ম্যাচটা? এমন সব প্রশ্নই যাচ্ছিল বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচের দিকে। কিন্তু তিনি ধীরস্থির, ফুটবলে এমনটা হতেই পারে বলে সব প্রশ্নই মাঠের বাইরে ফেলছিলেন।
শেষ দিকে এসে তাঁর একটা কথা বেশ চমকপ্রদ লাগল। পিটার বাটলার বলেছেন, ‘আজ জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল। সেটা হয়নি, কিছু করার নেই। মন থেকে বলছি, আজ বাংলাদেশ সিনিয়র পুরুষ দলের চেয়ে আমরা ভালো খেলেছি।’ শুধু কি আজকের ম্যাচ? পিটার বাটলারের উত্তর, ‘সাধারণভাবে আমি বলব, বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় দলের চেয়ে বাংলাদেশ নারী দল ভালো খেলে।’
কিন্তু আজ জিততে না পারার জন্য পাকিস্তানের নেতিবাচক মানসিকতাকেও দুষছেন তিনি, ‘আপনারা দেখুন পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা কীভাবে সময় নষ্ট করেছে। ডিফেন্ডাররা কী করেছে দেখুন। ওদের দেয়াল ভাঙা দরকার ছিল। আমরা সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু গোল আসেনি।’
বল পজেশন ছিল বাংলাদেশের দখলে। আক্রমণে প্রায় একতরফা খেলেছেন মনিকারা। কিন্তু গোল কেন আসেনি। শুনে পিটার বললেন, ‘ভালো প্রশ্ন। আসলে ফুটবলে এটাই হতে পারে। তবে আমরা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলে গেছি। আমি দারুণ খুশি, যেভাবে মেয়েরা ভালো খেলেছে।’
৯০ মিনিট পরও কি আশাবাদী ছিলেন বাংলাদেশ কোচ? ‘আমি সব সময় আশাবাদী ছিলাম। দেখুন, ইংল্যান্ড দলও ৯৫-৯৬ মিনিটে গোল করেছে। কাজেই আমি আশা হারাইনি’, বললেন বাটলার।
তাঁর সংযোজন, ‘মানুষ তো দেখে না মেয়েরা কতটা পরিশ্রম করে। খেলার প্রতি তাদের কতটা নিবেদন। আজ কেন আমরা জিততে পারলাম না, এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হতে পারে। ভুলের কারণে আমরা আসলে গোল খেয়েছি। এতে আমি হতাশ নই। আমি বাস্তববাদী। পরের ম্যাচ ২৩ অক্টোবর। আমরা কিছু মানুষকে চমকে দিতে চাইব সে ম্যাচে।’
শেষ মিনিটে গোল খেয়ে হতাশ পাকিস্তান কোচ আদিল মীর্জা। তবে বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন, ‘পাকিস্তানে মেয়েদের ঘরোয়া ফুটবল ছিল না ৮ বছর। সেখান থেকে এই পর্যায়ে আসতে পারা অনেক। তবে এই ড্র হজম করা কঠিন। ম্যাচে আমরা সাবিনাকে কড়া পাহারায় রেখেছি। তাকে খেলতে দিইনি। তবে শেষ পর্যন্ত জিততে পারলাম না। আমি দুঃখ পেয়েছি।’