ডি ব্রুইনা-সালাহ–হলান্ডদের বেতন কত
ফুটবলের সঙ্গে অর্থের নিবিড় সম্পর্ক আছে। বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলে অর্থই অনেক ক্ষেত্রে সাফল্যের চাবিকাঠি হয়ে উঠেছে। ফুটবলারদের ক্লাব বদলানোর পেছনেও বড় ভূমিকা রাখছে অর্থ।
ফুটবলপ্রেমীরাও বিষয়টি নিয়ে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রিয় ও তারকা খেলোয়াড়দের কে কেমন বেতন পান, তা নিয়েও আছে কৌতূহল।
ক্লাব ফুটবলে টাকার ছড়াছড়ি বেশি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক তারকা ফুটবলারও খেলেন। গ্রীষ্মকালীন দলবদলে এখন তো প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো নিয়মিতই ১০০ কোটি পাউন্ড (১৬ হাজার ১০ কোটি টাকা) খরচ করছে। যদিও কোন খেলোয়াড় কত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন, অনেকেরই তা অজানা থেকে যাচ্ছে। ক্লাবগুলোও পারিশ্রমিকের অঙ্কটা প্রকাশ্যে আনছে না।
তবে ফুটবল অর্থনীতি, খেলোয়াড়দের চুক্তি ও বেতনবিষয়ক বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ‘স্পটর্যাক’ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান মৌসুমের ২০ ক্লাবের সব খেলোয়াড়ের বার্ষিক বেতনের তালিকা প্রকাশ করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বেতন পান কেভিন ডি ব্রুইনা। বেলজিয়ামের এই তারকা মিডফিল্ডারকে ম্যানচেস্টার সিটি বছরে ২ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার (৩২২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা) দিয়ে থাকে। তাঁর সঙ্গে এ মৌসুম শেষে চুক্তির মেয়াদ ফুরাবে সিটির।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৫৩ লাখ ডলার (৩০২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা) বেতন পান ডি ব্রুইনার সতীর্থ আর্লিং হলান্ড। ২ কোটি ৩৭ লাখ ডলার (২৮৩ কোটি ২১ লাখ টাকা) নিয়ে যৌথভাবে তালিকার তিনে আছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাসেমিরো ও লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ। সবচেয়ে কম বেতন পান ইপসউইচ টাউনের ক্যামেরন হামফ্রেইস। এই মিডফিল্ডার বছরে পান ৬৬ হাজার ৮৬৭ ডলার (৭৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা)।
বেতনে শীর্ষ দশের চারজনই প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়। তিনজন খেলোয়াড় সিটির নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, দুজন আর্সেনালের এবং একজন লিভারপুলের।
কদিন আগে ব্যালন ডি’অর জেতা রদ্রি পান ১ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (১৭৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা)।
সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়াদের তালিকায় প্রথম ৪৩ জনের সবাই প্রিমিয়ার লিগের ‘বিগ সিক্স’ নামে পরিচিত ক্লাবের (ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি ও টটেনহাম)। ‘বিগ সিক্সের’ বাইরে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পান নিউক্যাসলের ব্রুনো গিমারায়েস। ব্রাজিলের এই মিডফিল্ডার পান ১ কোটি ৮ লাখ ডলার (১২৯ কোটি ৬ লাখ টাকা)।
লিগের ২০ ক্লাবকে খেলোয়াড়দের বেতন দিতে বছরে গুনতে হয় ২৪২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের মতো (২৮ হাজার ৯৬৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা)।