রিয়ালের ‘ছিনতাই’য়ে ক্ষুব্ধ জাভিও
ভিএআরে তিনটি সিদ্ধান্ত, দুটিতে গোল পেল রিয়াল মাদ্রিদ, একটি গোল হারাল আলমেরিয়া। ম্যাচের চূড়ান্ত স্কোরলাইন দেখলে যে কারওই মনে হবে, ভিএআরই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের পার্থক্য। কারণ রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচটা জিতেছে ৩-২ ব্যবধানে।
কাল লা লিগায় রিয়ালের কাছে হেরে আলমেরিয়ার অভিযোগের তির তাই ম্যাচ অফিশিয়ালদের দিকে। সঠিক সিদ্ধান্ত না দিয়ে তাদের জয় ডাকাতি করা হয়েছে, এমনটাই দাবি লিগের তলানিতে থাকা দলটির। শুধু আলমেরিয়া নয়, রিয়ালের ‘ডাকাতি’র সূত্রে রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজও। যদিও রিয়াল কোচ সব ঠিকই ছিল বলে মনে করছেন।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হওয়া ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে ২-০ ব্যবধানে এগিয়েছিল আলমেরিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি বড় ঘটনা ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেয়। ৫৭ মিনিটে হোসেলুর হেড আলমেরিয়ার কাইকি ফার্নান্দেজের হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রিয়ালের পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
এর ৪ মিনিট পর আলমেরিয়ার সের্হিও অ্যারিবাস বল জালে পাঠালে সেটি বিল্ড-আপে ফাউলের কারণ দেখিয়ে ভিএআরে বাতিল হয়। ৬৭ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোল হ্যান্ডবলের কারণে বাতিল করেন রেফারি। তবে ভিএআরের সাহায্য নেওয়ার পর সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়। ভিনিসিয়ুসের হাতে নয়, বল কাঁধে লেগেছে জানিয়ে গোল দেওয়া হয় রিয়ালকে।
এখন পর্যন্ত লিগে জয়ের মুখ না দেখা আলমেরিয়া রেফারি এসব সিদ্ধান্তে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ম্যাচের শেষ দিকে এ নিয়ে রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে লাল কার্ডও দেখেন কোচ গাইকা গারিতানো। খেলা শেষে ডিফেন্ডার গনজালেস দাবি করেন, সব সিদ্ধান্ত রিয়ালের পক্ষে গেছে, ‘এই প্রতিযোগিতা সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। কিন্তু কখনো কখনো সেটা দেখা যায় না। মাদ্রিদের পেনাল্টিটা পরিষ্কার ফাউল ছিল, আর দ্বিতীয়টা ছিল হ্যান্ডবল। সব সিদ্ধান্তই ওদের পক্ষে গেছে।’
মিডফিল্ডার গনজালো মেরেলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আরও কড়া ভাষায়, ‘মনে হচ্ছে আমরা আজ ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছি। এটা একদমই পরিষ্কার। ম্যাচে ফেরার জন্য ওদের এ ছাড়া কিছু করার ছিল না। এবারের মৌসুমে আমাদের সঙ্গে এ রকমটা কয়েকবার হয়েছে। অভিযোগ না করলে তারা কান দেয় না। আমরা কখনোই কিছু বলিনি। কিন্তু আজ সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। যা ঘটেছে, অবিশ্বাস্য।’
রিয়াল-আলমেরিয়া ম্যাচের পর বার্সেলোনা খেলে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে। ম্যাচ শেষে বার্সা কোচকে রেফারিং নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি হেতাফে ম্যাচের দিনই বলেছি, এই লিগ জেতাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অনেকের হয়তো মনে পড়বে না, কিন্তু এবারের আসরে আমরা আরও ৬ পয়েন্ট পেতে পারতাম। এখানে অজুহাত দিচ্ছি না। এগুলো বাস্তবতা। ৯৫ মিনিটে একটা ক্রস আসে... কিছু ব্যাপার আছে যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। সবাই দেখেছে আজ কী ঘটেছে।’
আলমেরিয়া ক্ষুব্ধ হলেও রেফারিং সিদ্ধান্তে ভুল ছিল না বলে মনে করেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘রেফারির সিদ্ধান্তে আলমেরিয়ার ক্ষোভের ব্যাপারটি আমি বুঝতে পারছি। তবে সব সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে আমি মনে করি। ভিএআর সিদ্ধান্ত দেয় না। ভিএআর পরামর্শ দেয়, রেফারি সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্তগুলো সঠিকই ছিল।’