বাংলাদেশের ফুটবলে বিরল ঘটনা, জাতীয় দলের ক্যাম্পে দুই গোলরক্ষক ভাই

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়া দুই গোলরক্ষক ভাই মোহাম্মদ সুজন হোসেন ও পাপ্পু হোসেন (ডানে)সংগৃহীত

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের গোলকিপার মোহাম্মদ সুজন হোসেনের বয়স ২৭ পেরিয়েছে। তাঁর ছোট ভাই এবার ব্রাদার্সে যোগ দেওয়া পাপ্পু হোসেনের বয়স ২৫। দুই সহোদর একই বিন্দুতে মিলে গেলেন আজ। ভুটানের বিপক্ষে থিম্পুতে ৫ ও ৮ সেপ্টেম্বর দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচের জন্য কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ঘোষণা করা ১৪ জনের প্রাথমিক দলে আছেন এই দুই গোলরক্ষক, রাজবাড়ীর দুই ভাই।

বাংলাদেশ জাতীয় দলে দুই ভাইয়ের খেলার দৃষ্টান্ত আছে অনেক। এমনকি তিন ভাইও খেলেছেন। তবে গোলকিপারে দুই ভাই জাতীয় দলে একসঙ্গে ডাক পাওয়া বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে বিরলই।

পাপ্পু হোসেন জাতীয় দলে প্রথম ডাক পান ২০১৯ সালে। সুজনের ডাক পাওয়া বেশি দিন হয়নি। এ বছরই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অস্ট্রেলিয়া, লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচে দলে ছিলেন। তবে দুই ভাইয়ের কারোরই এখনো জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি। পাপ্পু অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলেছেন। এখন তাকিয়ে আছেন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলার দিকে।

জাতীয় দলে এখন মূল গোলকিপার হিসেবে খেলছেন মিতুল মারমা। আছেন মেহেদি হাসান শ্রাবণও। ফলে জাতীয় দলের একাদশে জায়গা পাওয়া কঠিনই দুই ভাইয়ের জন্য।

আরামবাগ একাডেমি থেকে দুই গোলকিপার ভাইয়ের উঠে আসা। কীভাবে উঠে আসা, তা বললেন পাপ্পু, ‘আরামবাগের কালা ভাই আমাদের ফুটবলে আনেন। তিনি সুজন ভাইকে গোলকিপিং শেখান। ভাইকে দেখে আমিও গোলকিপার হই।’

দুই ভাইয়ের ফুটবলার হওয়ার পেছনে অবদান আছে তাঁদের মামা সোহেল রানারও। বসুন্ধরা কিংসের মিডফিল্ডার সোহেল রানা জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য অনেক দিন ধরেই। মামা-ভাগনে একসঙ্গে খেলার স্বপ্ন দেখেন পাপ্পু, ‘সোহেল রানা আমার মামা। স্বপ্ন দেখি মামা–ভাগনে একসঙ্গে জাতীয় দলে খেলব। আশা করি তা পূরণ হবে।’