গুন্দোয়ান এখন বার্সেলোনার
মৌসুম শেষেই গুঞ্জনটা উঠেছিল। ইলকায় গুন্দোয়ান ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়ছেন। তারপর প্রশ্ন উঠেছিল যাচ্ছেন কোথায়? চার দিন আগে স্কাই স্পোর্টস সেটাও জানিয়ে দিয়েছিল, বার্সেলোনায় যোগ দিচ্ছেন জার্মানির এই মিডফিল্ডার। অপেক্ষা ছিল শুধু বার্সার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার।
সেটাও আজ নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দিয়েছে বার্সা। সিটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ করে ক্যাম্প ন্যুকেই নতুন ঠিকানা বানিয়েছেন গুন্দোয়ান। দুই মৌসুমের জন্য তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছে বার্সা, যেটির মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। ফ্রি ট্রান্সফার হওয়ায় এই দলবদলে বার্সার কোনো টাকা-পয়সা খরচ হচ্ছে না। ক্লাবটিতে চাইলে চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়াতে পারবেন গুন্দোয়ান। নিজেদের ওয়েবসাইটে গুন্দোয়ানকে দলে ভেড়ানোর ঘোষণায় বার্সা জানিয়েছে, ৩২ বছর বয়সী এই তারকার বাই-আউট ক্লজ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ কোটি ইউরো।
বার্সেলোনার ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ‘ইলকায় গুন্দোয়ানকে সই করাতে তার সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বার্সেলোনা...তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার বিষয়ে দ্রুতই সবকিছু জানাবে ক্লাব।’
বোচাম ও নুরেমবার্গ ঘুরে ২০১১ সালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে যোগ দিয়ে নিজের জাত চেনাতে শুরু করেন গুন্দোয়ান। ডর্টমুন্ডের হয়ে বুন্দেসলিগা জয়ের পাশাপাশি ২০১২-১৩ মৌসুমে খেলেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও। ২০১৬ সালে পেপ গার্দিওলা ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হওয়ার পর ক্লাবটিতে তাঁর প্রথম চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় ছিলেন গুন্দোয়ান। সিটিতে ৭ মৌসুমের ক্যারিয়ারে ১৪টি ট্রফি জিতেছেন, এর মধ্যে আছে ৫টি লিগ শিরোপা। গত মৌসুমে জিতেছেন ‘ট্রেবল’—ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ।
গত মৌসুমে সিটির অধিনায়কত্বও করেছেন গুন্দোয়ান। বড় ম্যাচে জ্বলে ওঠার সামর্থ্য থাকায় তাঁকে একটু আলাদা চোখেই দেখতেন সিটি কোচ গার্দিওলা। এত দিনের ক্লাব ছাড়ার বিষয়ে এক বিবৃতিতে গুন্দোয়ান বলেছেন, ‘গত সাত বছর ধরে ম্যানচেস্টার সিটির অংশ হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। ম্যানচেস্টার সিটি আমার ঘর। এখানে অনেক অবিস্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছি। আর গত মৌসুমটা ছিল বিশেষ—আমার ক্যারিয়ারের সেরা অভিজ্ঞতা।’
মাঝমাঠের কথা ভেবে গুন্দোয়ানকে দলে টানল বার্সা। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড পজিশনে দীর্ঘদিনের সেনানী সের্হিও বুসকেতসকে বার্সা আগামী মৌসুম থেকে পাচ্ছে না। গত মৌসুমেই বিদায় বলে দেন বার্সাকে। তাঁর শূন্যতা পূরণে গুন্দোয়ানকে নিয়ে এলেন কোচ জাভি হার্নান্দেজ। এ ছাড়াও, নিখুঁত পাসিং, আক্রমণে ওঠা ও গোল করায়ও দক্ষ গুন্দোয়ান। এখন নতুন পরিবেশে গুন্দোয়ান কতটা সফল হন সেটাই দেখার বিষয়।