‘রিয়াল-সিটি ম্যাচের ফল সৃষ্টিকর্তা ঠিক করে দিয়েছিলেন’
রিয়াল মাদ্রিদের বিদায়ের ক্ষণ ঘনিয়ে আসছিল। প্রথম লেগে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে হারের পর দ্বিতীয় লেগেও হারের চোখ রাঙানি ছিল। কিন্তু চিত্রনাট্যে লেখা ছিল ভিন্ন কিছু। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে থেকে ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল।
৮৯ মিনিট পর্যন্তও ১-০ গোলে ও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে যে দলটা পিছিয়ে ছিল, সেই রিয়ালই দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৫ গোল ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের টিকিট পেয়ে যায়! রিয়াল মাদ্রিদের সেই জয় বিশেষজ্ঞ থেকে সমর্থক—সবার কাছেই অবিশ্বাস্য লাগে।
চলতি মৌসুমে ম্যান সিটিতে যোগ দেওয়া আর্লিং হলান্ডও তাদেরই একজন। এই নরওয়েজিয়ান ফুটবলারের মতে, এমন কিছু ফুটবল ম্যাচের ফলাফল সৃষ্টিকর্তাই ঠিক করে দেন।
সে ম্যাচে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকা রিয়ালকে পথ দেখান ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রদ্রিগো। ৯০তম মিনিটে করিম বেনজেমার ক্রসে কাছ থেকে পায়ের টোকায় সমতা টানেন রদ্রিগো। দ্বিতীয়ার্ধে টনি ক্রুসের বদলি নামা এই ব্রাজিলিয়ান যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে আবার জালে বল পাঠান। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর কিছুক্ষণ পরই আবারও সিটির জালে বল! সেই কাজটা করেন বেনজেমা।
এভাবেই তীরে এসে তরী ডুবিয়েছিল ম্যান সিটি। এটা কী গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সিটি চাপ নিতে না পারার কারণে, এমন একটা প্রশ্ন করা হয়েছিল হলান্ডের কাছে। যদিও এই সিটি স্ট্রাইকার বলছেন, সিটির চাপ নয়, বরং সৃষ্টিকর্তাই আগে থেকে লিখে রেখেছিল এই ম্যাচ কে জিতবে, ‘রদ্রিগোর গোলটা দেখুন, আসেনসিওর হেড রদ্রিগোর পায়ে এসে পরে, সেখান থেকেই গোল করে রদ্রিগো। আমার মনে হয়, সৃষ্টিকর্তাই ঠিক করে দেয় কে জিতবে। রিয়াল মাদ্রিদের মানসিকতাও একটা বড় কারণ হতে পারে। কারণ তারা আগে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে।’
সিটির হয়ে খেলা নিজের প্রথম মৌসুমে এরই মধ্যে ২৪ ম্যাচে ২৭ গোল করছেন হলান্ড। চ্যাম্পিয়নস লিগে করেছেন ৪ ম্যাচে ৫ টি। চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততেই যে তিনি সিটিতে এসেছেন, তা আরও হলান্ড স্পষ্টকরেই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ সিটিকে শিরোপা জেতাতে যা যা সম্ভব, সবই করব। আমার উদ্দেশ্য এই মৌসুমে সিটির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা।’