নিষিদ্ধ সেই আল-আমিনের পুনর্জন্ম
ব্রাদার্স ইউনিয়ন–আবাহনী লিমিটেডের গোলশূন্য ড্র দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে।
গতকালের সেই ড্রয়ে শীর্ষে থাকা মোহামেডানের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান দুইয়ে কমিয়ে আনার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে আকাশি-নীলের। কিন্তু শুধুই দেশি ফুটবলার নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ৯ ম্যাচ শেষে দুইয়ে থাকাও কম নয় তাদের জন্য।
তবে এবারের লিগে প্রথম পর্বের বড় আবিষ্কার পুলিশ এফসির স্ট্রাইকার আল-আমিন। দেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ গোল তাঁর।
পয়েন্ট তালিকা (প্রথম পর্ব শেষে)
প্রথম ম্যাচে ব্রাদার্সের বিপক্ষে গোল পাননি আল–আমিন। পরের দুই ম্যাচে ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ও ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে দুটি করে গোল। চতুর্থ ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে এক গোল। এরপর টানা চার ম্যাচে গোলহীন। নবম ম্যাচে রহমতগঞ্জের পোস্টে জোড়া গোল।
নীলফামারীর ছেলে আল-আমিন ২০২০-২১ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে আরামবাগে খেলেছেন। আরামবাগ তখন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়। কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে আল-আমিনও এক বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। যদিও তাঁর দাবি, ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না তিনি।
আমাকে বিনা কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। জীবনটাই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। সেই অবস্থা থেকে আমি ফিরে এসেছিআল–আমিন, স্ট্রাইকার, পুলিশ এফসি
নিষিদ্ধ হওয়ার পর দিশাহারা আল-আমিন যশোরের শামসুল হুদা একাডেমিতে চলে যান। সেখান থেকে পরে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে নাম লেখালেও তেমন কিছু করতে পারেননি। পুলিশ এফসিতে এসে এবার লিগের প্রথম পর্বে আলো কেড়েছেন ২১ বছরের তরুণ।
তৃপ্ত আল-আমিন তাকিয়ে আছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরার দিকে। তাঁর আশা, প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পাবেন। তবে মনে জমে আছে অনেক আক্ষেপ, ‘আমাকে বিনা কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। জীবনটাই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। সেই অবস্থা থেকে আমি ফিরে এসেছি। পুলিশের কোচ জুয়েল স্যার আমাকে নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করেছেন। সেটারই ফল পাচ্ছি এখন।’
৫ গোল নিয়ে দেশিদের মধ্যে দুইয়ে বসুন্ধরা কিংসের রাকিব হোসেন ও রহমতগঞ্জের নাবিব নেওয়াজ জীবন। গত লিগের প্রথম পর্বে রাকিব ৬ গোল করেছিলেন। তবে এবারও সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এক বিদেশি। ১১ গোল নিয়ে শীর্ষে রহমতগঞ্জের ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার স্যামুয়েল বোয়াটেং। এক ম্যাচেই তিনি করেছেন ৬ গোল। দুই ম্যাচে দুটি করে গোল তাঁর।
টানা ৫ বারের লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস প্রথম পর্বে আবাহনী, মোহামেডানের কাছে হেরেছে। ২০০৭ সালে পেশাদার লিগ চালু হওয়ার পর কখনো শিরোপা জিততে না পারা মোহামেডান এবার শুরু থেকেই ভালো করছে। কিংসের ব্যর্থতায় অনেক দিন পর প্রথম পর্ব শেষে শীর্ষে সাদা–কালোরা।
লিগের দ্বিতীয় পর্বের জন্য খেলোয়াড় নিবন্ধন চলবে ১-২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে ১৬-১৭ ও ২১-২২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দুই রাউন্ড হবে। এরপর জাতীয় দলের ক্যাম্পের জন্য বিরতি।