কেইনের ঘরে ফেরার রাতে আর্সেনাল-বায়ার্নের রোমাঞ্চকর ড্র
আর্সেনাল ২ : ২ বায়ার্ন মিউনিখ
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে আর্সেনাল-বায়ার্ন মিউনিখ ম্যাচে সবার চোখ ছিল হ্যারি কেইনের ওপর। এটা যে ইংলিশ স্ট্রাইকারের লন্ডনে ফেরার ম্যাচ ছিল। ঘরে ফেরার রাতে কেইন গোল পেলেও, শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে ফেরা হয়নি। উত্থান-পতনের রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে ২-২ সমতাতে মাঠ ছেড়েছে আর্সেনাল ও বায়ার্ন।
ঘরের মাঠ এমিরেটসে শুরু থেকেই জমে উঠে আর্সেনাল-বায়ার্ন দ্বৈরথ। মাঠের পারফরম্যান্সে অবশ্য আর্সেনালই দাপট দেখিয়েছে বেশি। যদিও তা শেষ পর্যন্ত বায়ার্নকে হারানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। উল্টো সুযোগ মিস করার খেসারত দিয়ে লম্বা সময় পর্যন্ত ম্যাচ পিছিয়ে থেকে হারের শঙ্কাতেও ছিল আর্সেনাল। শেষ পর্যন্ত হার এড়ালেও, অস্বস্তি থেকে গেল মিকেল আরতেতার দলের। পরের ম্যাচটা যে তাদের বায়ার্নের মাঠ আলিয়েঞ্জ অ্যারেনায় খেলতে হবে। এ ম্যাচ শেষে আর্সেনাল শিবিরে অস্বস্তির সঙ্গে অবশ্য যুক্ত হয়েছে ক্ষোভও।
ম্যাচের শেষের দিকে বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়াল নয়্যার বুকায়ো সাকাকে ফেলে দিলে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করে আর্সেনাল। যদিও তাতে সাড়া না দিয়ে শেষ বাঁশি বাজান রেফারি। যা নিয়ে মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে আর্সেনাল খেলোয়াড়দের। যদিও তাতে কোনো লাভ হয়নি। পেনাল্টি নিয়ে আর্সেনালের হতাশার রাতটি শেষ হয়েছে ২-২ ড্রয়ে।
কেইনের প্রত্যাবর্তনের রাতে অনুমেয়ভাবেই দাপুটে শুরু করে আর্সেনাল। দারুণ ছন্দে থাকা গানারদের আক্রমণের তোপে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে বায়ার্ন। অতিথিদের চাপে রেখে ১২ মিনিটে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন সাকা। বক্সের ভেতর বল পেয়ে বাঁ পায়ের বাঁকানো নিচু শটে গোল করেন ইংলিশ উইঙ্গার। গোল খেয়ে যেন ঘুম ভাঙে বায়ার্নের। ১৮ মিনিটে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচে সমতাও ফিরিয়ে আনে তারা।
অসাধারণ ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সের্হে নাব্রি। এ গোলের সুযোগ তৈরিতে অবশ্য আর্সেনালের নিজেদের ভুলও কম ছিল না। এরপর ঘরের মাঠে আর্সেনাল সমর্থকদের দ্বিতীয়বার হৃদয় ভাঙে ২৯ মিনিটে। বক্সের ভেতর লেরয় সানেকে ফাউল করে উইলিয়াম সালিবা ফেলে দিলে এ পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। আর্সেনাল গোলরক্ষক আগেই জায়গা ছাড়লে আলতো শটে বল জালে জড়ান কেইন।
পিছিয়ে পড়ার পর খেই হারায় আর্সেনাল। আক্রমণ ও বলের দখলে অবশ্য আর্সেনালই এগিয়ে ছিল, কিন্তু তাদের আক্রমণগুলো ম্যাচে ফেরার জন্য মোটেই যথেষ্ট ছিল না। ঘরের মাঠে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে থাকা দলটি।
বিরতির পরও দাপট ছিল আর্সেনালের। ম্যাচে ফেরার জন্য জোর চেষ্টা চালায় তারা। বায়ার্নও চেষ্টা করে পাল্টা আক্রমণ থেকে ব্যবধান বাড়িয়ে ম্যাচকে নিরাপদে নিয়ে যেতে। তবে এ লক্ষ্যে বায়ার্ন সফল না হলেও, আর্সেনাল ঠিকই কাঙ্ক্ষিত সমতাসূচক গোলটি পেয়ে যায়। দুর্দান্ত এক দলগত আক্রমণ থেকে গোল করেন লেয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড। এই গোলই শেষ পর্যন্ত হার থেকে বাঁচায় আর্সেনালকে। এখন বায়ার্নের মাঠ থেকে দ্বিতীয় লেগে জয় নিয়ে ফিরতে পারে কি না সেটাই দেখার অপেক্ষা।