ভারতে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে পাকিস্তান ফুটবল দল

পাকিস্তান ফুটবল দলছবি: টুইটার

দূর হলো সব অনিশ্চয়তা। ভারত সফরের অনুমতি পেয়েছে পাকিস্তান ফুটবল দল।
ভারত সফরে যেতে পাকিস্তান সরকারের অনুমতি পেতে দেরি হচ্ছিল দেশটির ফুটবল দলের। ফলে ২১ জুন বেঙ্গালুরুতে শুরু হতে যাওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে পাকিস্তানের। অবশেষে জটিলতা কেটেছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন যাই থাকুক, পাকিস্তান সরকার শেষ পর্যন্ত তাদের ফুটবল দলকে ভারত গিয়ে সাফ খেলার ছাড়পত্র দিয়েছে।

পাকিস্তানের দৈনিক দ্য ডনের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তান ক্রীড়া বোর্ড তাদের ফুটবল দলকে ভারত সফরের অনুমতি দিয়েছে আজ। গতকাল অনুমতি দেয় পাকিস্তান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর যুববিষয়ক বিশেষ সহকারী শাজা ফাতিমা খাওয়াজা টুইটারে করে বলেছেন, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে পাকিস্তান দলের ভারত সফরে সরকারের কোনো আপত্তি নেই।

আরও পড়ুন

পাকিস্তান ফুটবল দল সর্বশেষ ভারত গিয়েছিল ২০১৪ সালে। সেবার তারা দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলে প্রতিবেশী দেশটিতে। এরপর ২০১৫ সালের ভারতের কেরালায় হওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেনি পাকিস্তান। ৯ বছর পর আবার ভারতে হতে যাওয়া আরেকটি সাফে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে পাকিস্তানকে।

পাকিস্তান ফুটবল দল এখন মরিশাসে
ছবি: টুইটার

পাকিস্তান ফুটবল দল এখন মরিশাসে আছে চার জাতি টুর্নামেন্ট খেলতে। টুর্নামেন্টে স্বাগতিকদের কাছে ৩-০ ও কেনিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে পাকিস্তান। শনিবার পাকিস্তানের শেষ ম্যাচ জিবুতির বিপক্ষে। এই ম্যাচ খেলেই পাকিস্তান পরদিন ভারতের টিকিট কেটে রেখেছে। মরিশাস থেকেই আজ তাদের ভারতের ভিসা পাওয়ার কথা।

পাকিস্তান দল ভারতে না গেলে ৮ দলের বদলে ৭ দল নিয়ে হতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এক গ্রুপের দল কমে হতো ৩টি। ফলে টুর্নামেন্টের কাঠামো বদলে যেত কিছুটা। এখন সেটা এড়ানো গেছে। সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘সব জটিলতা কেটে গেছে। পাকিস্তান দল ভারতের ভিসা পেয়ে যাচ্ছে। রোববার তারা বেঙ্গালুরু যাবে। ফলে পরিকল্পনা অনুযায়ীই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হবে।’

বাংলাদেশ ও নেপাল দলের আজই বেঙ্গালুরু পৌঁছানোর কথা। অতিথি দল কুয়েত যাবে ১৯ জুন। আরেক অতিথি দল লেবানন এখন ভারতেই আছে। ভুবনেশ্বরে তারা ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপ খেলছে। ১৮ জুন টুর্নামেন্টের ফাইনালে তারা স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে। ভুটান দল কলকাতায়। সেখানে থেকেই তারা চলে যাবে বেঙ্গালুরু। মালদ্বীপও দু–এক দিনের মধ্যে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন