মেসি-সুয়ারেজের পুনর্মিলনীতে জিততে পারেনি ইন্টার মায়ামি
সাধারণত প্রাক্–মৌসুম প্রস্তুতির এসব ম্যাচ নিয়ে খুব একটা আগ্রহ থাকে না সমর্থকদের। এসব ম্যাচ দিয়ে ক্লাবগুলো সাধারণত নিজেদের সমন্বয় ঠিক করা, পছন্দের একাদশ বেছে নেওয়া এবং বেঞ্চ বাজিয়ে দেখার কাজটাই করে। তবে ইন্টার মায়ামির প্রাক্–মৌসুমের প্রথম ম্যাচটি মোটেই তেমন ছিল না।
একে তো লিওনেল মেসির ম্যাচ বলে কথা, তার ওপর এই ম্যাচ দিয়ে ফের নতুন করে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন মেসি ও লুইস সুয়ারেজ। সব মিলিয়ে স্বাগতিক এল সালভাদরের বিপক্ষে এই প্রীতি ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। কিন্তু সাড়ে তিন বছর পর মেসি-সুয়ারেজের পুনর্মিলনীর দিনে জিততে পারেনি ইন্টার মায়ামি। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে গোলশূন্য ড্র নিয়ে ফিরেছে তারা।
এদিনের ম্যাচটা অবশ্য এল সালভাদর, নাকি ইন্টার মায়ামির মাঠে হয়েছে, তা বোঝা দুষ্কর ছিল। মেসির পায়ে বল যেতেই যে উল্লাসে ফেটে পড়ছিলেন দর্শকেরা। বিশেষ ম্যাচের শুরুর দুই মিনিটে দুবার বল স্পর্শ করেন মেসি, তাতেই হর্ষধ্বনিতে গ্যালারি মাতিয়েছেন উপস্থিত দর্শকেরা; যদিও ৪৫ মিনিটের বেশি মেসির খেলা উপভোগ করতে পারেননি তাঁরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তুলে নেওয়া হয় মেসিসহ চার মূল আকর্ষণকে। সুয়ারেজ, সের্হিও বুসকেতস ও জর্দি আলবাকেও বদলি করা হয়।
৪৫ মিনিটের মধ্যেই অবশ্য গোল করার দারুণ সুযোগ এসেছিল মেসির সামনে। বিশেষ করে ৩৫ মিনিটে এল সালভাদর গোলরক্ষক পোস্টের সামনে রুদ্রমূর্তি ধারণ করে মেসিকে পরপর দুবার ফিরিয়ে না দিলে গোলটা পেয়েই যেতেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মেসি ছাড়া সুযোগ হাতছাড়া করেছেন জর্দি আলবাও।
৪০ মিনিটে ওয়ান অন ওয়ানে গোলরক্ষককে একা পেয়েও জাল খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন আলবা। এরপর প্রথমার্ধের শেষ দিকে ফ্রি-কিক থেকেও গোল করার সুযোগ ছিল মেসির। কিন্তু সেটিও কাজে লাগাতে পারেননি সাবেক বার্সেলোনা তারকা। অন্যদিকে বল পায়ে সুয়ারেজও চেষ্টা করেছেন জাদু দেখানোর; যদিও বড় কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি উরুগুয়ে তারকা।
আকস্মিক ঝলক ও দারুণ কিছু আক্রমণে নজর কাড়লেও ইন্টার মায়ামির মধ্যে কিছু সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে। অবশ্য লম্বা সময় পর মাঠে ফিরে এমনটা একেবারে অস্বাভাবিকও ছিল না। এই ম্যাচের পর নিশ্চয় ঘাটতিগুলো পুষিয়ে নেওয়ার ওপর জোর দেবেন মায়ামি কোচ জেরার্দো মার্তিনো।
চার তারকা নেমে যাওয়ার পরও ইন্টার মায়ামি চেষ্টা করেছে গোল আদায়ের। পাল্টা আক্রমণে জবাব দিয়েছে এল সালভাদরও; যদিও শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। দুই দল বিরোধে জড়ানোয় মাঠে উত্তাপও ছড়িয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুই গোল আদায়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুই দলকে।