ইন্টার মায়ামিতে মেসির চেয়ে ধনী খেলোয়াড়টি কে
লিওনেল মেসি অনেকের কাছেই এ গ্রহের সর্বকালের সেরা ফুটবলার। দুই দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতেছেন মেসি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পূরণ করেছেন বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নও। মেসি এখন খেলছেন মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। মেসির আগমনই মূলত বদলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল। শুধু তারকা ইমেজে নয়, আয়ের বিচারেও কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ফুটবলারদের একজন মেসি। তবু অবাক করা ব্যাপার হলো ইন্টার মায়ামির খেলোয়াড়দের মধ্যে মেসি সবচেয়ে ধনী নন!
মায়ামির সবচেয়ে ধনী খেলোয়াড়টি ২৩ বছর বয়সী লিওনার্দো কাম্পানা। ফুটবল দুনিয়ায় এখনো পায়ের নিচে মাটি খুঁজে বেড়াচ্ছেন কাম্পানা। তবে ইকুয়েডোরিয়ান এ ফুটবলার এমন পরিবার থেকে এসেছেন, যাদের কৃষি, শিল্প, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ। অর্থনীতির পাশাপাশি খেলাধুলা এবং রাজনীতিতেও কাম্পানার পরিবারের আছে সমৃদ্ধ ইতিহাস।
ইতালিয়ান সংবাদপত্র ‘কোরিয়েরে দেল্লো স্পোর্ট’–এর তথ্য অনুযায়ী, আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি ইউরোর মতো। যেখানে কাম্পানার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১০০ কোটি ইউরোর বেশি। তাই ফুটবল থেকে অর্জনে মেসির ধারেকাছে না থাকলেও, পারিবারিক ধন–সম্পদের কারণে অর্থনৈতিকভাবে বেশ উঁচুতে অবস্থান কাম্পানার।
কাম্পানার বাবা পাবলো কাম্পানা ছিলেন রাজনীবিদ এবং সাবেক পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়। ১৯৯৬ সালে আটলান্টা অলিম্পিকে তিনি ইকুয়েডরের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। আর রাজনীতিতে তিনি লেনিন মোরেনা সরকারের বৈদেশিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। কাম্পানার পরিবার ব্যবসায়িক দুনিয়ায় সাফল্য লাভ করেছেন মূলত আবাসন ব্যবসায়।
কাম্পানার নানি ইসাবেলা নোবোয়াকেও বিবেচনা করা হয় লাতিন আমেরিকার অন্যতম প্রধান ব্যবসায়ীদের একজন হিসেবে। এমনকি কাম্পানার প্রপিতামহও ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়। ১৯২০–এর দশকে তিনি ছয়বার ইকুয়েডরিয়ান লিগ জিতেছেন। অন্য দিকে কাম্পানার নানা ইসিদ্রো রোমেরো ইকুয়েডরের ক্লাব বার্সেলোনা স্পোর্টিংয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছন ১৫ বছর ধরে। এমনকি ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট দানিয়েল নোবোয়া আজিনও কাম্পানার মায়ের দিকের আত্মীয়।
ইকুয়েডরের বার্সেলোনা স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন কাম্পানা। ১৯ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলের পথে যাত্রা শুরু হয় তাঁর। ২০২০ সালে যোগ দেন ইংলিশ ক্লাব উলভসে। এরপর ইন্টার মায়ামিসহ বিভিন্ন ক্লাবে ধারে খেলার পর গত বছর পাকাপাকিভাবে যোগ দেন মায়ামিতেই। ফ্লোরিডার ক্লাবটির হয়ে প্রথম দুই মৌসুমে করেছেন ২৬ গোল। সাম্প্রতিক সময়ে উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজের কাছে একাদশে জায়গা হারিয়েছেন কাম্পানা। এমএলএসে এখন পর্যন্ত ইন্টার মায়ামির খেলা তিন ম্যাচেই কাম্পানা নেমেছেন বদলি হিসেবে।