ফিফার চোখে ‘হামজা নতুন বাংলাদেশে আগামীর গর্ব’

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরীইনস্টাগ্রাম

হামজা চৌধুরী কবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জার্সিতে খেলবেন, এ নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন ফুটবলপ্রেমীরা। এরই মধ্যে হামজা বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন, ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও তাঁকে বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতিপত্র দিয়েছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের লেস্টার সিটির এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারের বাংলাদেশের হয়ে খেলা এখন সময়ের ব্যাপার। ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন আর লেস্টার সিটির অনুমতি—এ দুটি পেলেই হামজা হয়ে যাবেন বাংলাদেশের ফুটবলের।

এর মধ্যেই ফিফার এক ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ‘ফিফা ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপ’–এ পোস্ট দেওয়া হয়েছে হামজা চৌধুরীকে নিয়ে। তাঁর একটি ছবি পোস্ট করে বাংলায় লেখা হয়েছে, ‘নতুন বাংলাদেশের আগামীর গর্ব হামজা।’

হামজা চৌধুরীকে শিগগিরই বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যাবে
ইনস্টাগ্রাম

ইংল্যান্ডে জন্ম ও বেড়ে ওঠা হামজা নিজেই বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) হামজাকে জাতীয় দলের হয়ে খেলানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি খেলোয়াড়ের বাংলাদেশ দলে খেলাটা অবশ্য নতুন নয়। জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজীরা জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্যই হয়ে গেছেন। জামাল তো অধিনায়কও।

লেস্টার সিটির একাডেমি থেকে উঠে এসেছেন হামজা
ইনস্টাগ্রাম

তবু হামজাকে নিয়ে বাড়তি আগ্রহ আর আলোচনার কারণ, ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের অন্যতম সেরা লিগে খেলা কেউ এর আগে বাংলাদেশের হয়ে খেলেননি। ২৬ বছর বয়সী হামজা বর্তমানে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটির অধিনায়ক, জিতেছেন এফএ কাপও। ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা ক্লাব টুর্নামেন্ট ইউরোপা লিগ ও এরপরের ধাপ কনফারেন্স লিগেও খেলেছেন তিনি।

হামজাকে বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর ছাড়পত্র নিতে বেশ কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে বাফুফেকে। সে অনুযায়ী গত জুনে বাংলাদেশি পাসপোর্টের আবেদন করেন হামজা। পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন আগস্টে। এরপর তিনি পেয়েছেন এফএর অনাপত্তিপত্র। বাফুফে এখন তাঁর ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছে ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে। ফিফার অনুমোদন দ্রুতই চলে আসার কথা।