ব্রাসেলসের বেলজিয়াম–ওয়েলস ম্যাচটি ছিল দুই দলের গত দশ বছরের মধ্যে নবম আর গত ১৮ মাসের মধ্যে চতুর্থ। ঘন ঘন দেখা হয়ে যাচ্ছে বলে ‘এটা বিরক্তিকর হয়ে উঠছে’ বলে ম্যাচের আগে মন্তব্যও করেছিলেন কেভিন ডি ব্রুইনা।
কিন্তু বিরক্তি নিয়ে খেলতে নেমেও ওয়েলসের রক্ষণকে রীতিমতো দৌড়ের ওপর রেখেছেন ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার। একটি গোল নিজে করেছেন, আরেক গোল বাতশুয়াইকে দিয়ে করিয়েছেন। আর এত সুযোগ তৈরি করেছেন যে মিস না করলে হ্যাটট্রিক পেয়ে যেতেন প্রথমার্ধে।
ব্রুইনার দারুণ পারফরম্যান্সের ম্যাচটিতে বেলজিয়াম জিতেছে ২–১ ব্যবধানে। এ জয়ে উয়েফা নেশনস লিগের সেমি ফাইনালসের সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছে বেলজিয়াম।
তিন পয়েন্টের আনন্দ নিয়ে শেষ হওয়া খেলাটিতে অবশ্য শেষ দিকে একটা অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা হয়েছে বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্তিনেজের।
যোগ করা সময়ে বল টাচলাইন পার হলে থ্রো ইন পায় ওয়েলস। সময়ক্ষেপণের জন্য বলে লাথি মেরে দূরে সরিয়ে দেন বেলজিয়ান কোচ। রেফারি আলী পালাবিয়িক এসে সরাসরিই লাল কার্ড দেখান মার্তিনেজকে।
টাচলাইন থেকে ছিটকে যাওয়াটা ভালো লাগেনি বেলজিয়ান কোচের। ম্যাচ শেষে স্পষ্টই বলেছেন, ‘এটা সর্বোচ্চ হলুদ কার্ড হতে পারত। লাল কার্ড কোনোমতেই না। আমি শুধু খেলার গতি একটু ধীর করতে চেয়েছিলাম।’
তবে খারাপ লাগার ওই মুহূর্তে বেলজিয়াম অধিনায়ক এডেন হ্যাজার্ড পরিবেশকে কিছুটা হালকা করে তুলেছেন। মার্তিনেজের কণ্ঠেই শুনুন, ‘অধিনায়ক বলল, এই লাল কার্ডের জন্য তোমাকে ডিনারের খরচ বহন করতে হবে। আমিও রাজি হয়ে গেলাম।’
৩১ বছর বয়সী বেলজিয়াম অধিনায়ককে এই ম্যাচে ৬৩ মিনিট খেলিয়েছেন কোচ। চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে মাত্র একটি ম্যাচে শুরুর একাদশে খেলেছেন হ্যাজার্ড।
জাতীয় দলের হয়ে শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়ে খুশি রিয়াল ফরোয়ার্ড, ‘বিশ্বকাপের আগে নিজেকে আরও প্রস্তুত করে নিতে চাই আমি। খেলতে নামলে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েই খেলি। রিয়াল মাদ্রিদে সুযোগটা পাওয়াটা সহজ নয়। আমি আরও বেশি খেলতে চাই, কিন্তু খেলতে পারছি না।’
হ্যাজার্ডের দল উয়েফা নেশনস লিগে পরের ম্যাচটি খেলবে রোববার, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।