পেলের কাতারে যাওয়ার ইচ্ছা পূরণ হবে?
এবারের বিশ্বকাপে থাকছেন না ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে তিনি দূর আকাশের তারা। মাঠে তো বটেই, মাঠের বাইরে থেকেও ম্যারাডোনা সব সময়ই ছিলেন বিশ্বকাপের সঙ্গে। আর্জেন্টিনার ম্যাচে গ্যালারিতে তাঁর উপস্থিতি, নানা অঙ্গভঙ্গি বিশ্বকাপের আনন্দকে ভিন্নমাত্রাই দিয়েছে সব সময়। এবার কাতার বিশ্বকাপ খুব করেই মিস করবে আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তিকে।
ম্যারাডোনা এখন রক্ত–মাংসের কেউ নন। তিনি এখন স্মৃতি। কিন্তু ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি পেলে? তিনি তো আছেন। পেলেও বিশ্বকাপের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁকে ছাড়াও বিশ্বকাপটা ঠিক কল্পনা করা যায় না। যদিও অসুস্থ থাকায় ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।
এবার কি পেলে থাকতে পারবেন বিশ্বকাপে? তিনি কি ব্রাজিল থেকে কাতার আসতে পারবেন? তাঁর শরীর কি সায় দেবে?
শরীর সায় দিলেও এখন পর্যন্ত খবর, পেলের চিকিৎসকেরা নাকি কিছুতেই ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জেতা তারকাকে কাতারে ভ্রমণে যেতে দিতে চান না। কিছুদিন আগেও পেলে আশাবাদী ছিলেন, তিনি বিশ্বকাপ উপভোগ করতে কাতার যেতে চান।
পেলের কাতার–যাত্রা নিয়ে সংশয় আছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনেরই।
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘পেলের বয়স এখন ৮২ বছর। তিনি নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। এ অবস্থায় দীর্ঘ বিমানভ্রমণের ঝুঁকি নেওয়াটা ঠিক হবে কি না, সেটি নিয়ে ভাবছেন তাঁর চিকিৎসকেরা। কিন্তু তিনি নিজে আবার কাতার যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোও নিয়ে রেখেছি। এখন চিকিৎসকেরা অনুমতি দিলেই তিনি কাতার যাবেন।’
চিকিৎসকদের কথা, ‘পেলে ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তিনি আসলে অসুস্থ। তাঁর সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। কাতারে গেলে তাঁর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার শঙ্কাই বেশি। আমরা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছি বিশ্বকাপটা বাড়িতে বসে টিভিতে দেখতে। তিনি আসলে ভ্রমণের মতো শারীরিক অবস্থায় নেই।’
গতবার ম্যারাডোনা বিশ্বকাপের শোভা বাড়ালেও পেলে ছিলেন না। এবার ম্যারাডোনার সঙ্গে থাকবেন না পেলেও। মাঠের বাইরে বিশ্বকাপ যে অনেকটাই রং হারাবে, সেটি বলাই যায়।